প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীনদের মাঝে তৃতীয় পর্যায়ে ভূমি ও গৃহ প্রদানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন মঙ্গলবার। এ উপলক্ষ্যে সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কুমিল্লার হোমনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুমন দে। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পরিষদ মিলানায়তনে এ সাংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজানুর রহমান ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নাহীদ আহমেদ জাকির।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুমন দে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজন্ম স্বপ্ন ছিল বাংলার গরীব-দুঃখী নিঃস্ব মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। এ লক্ষ্য পূরণে তিনি অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ জীবন ধারনের মৌলিক উপকরণের ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণের বিষয়টি সংবিধানের ১৫(ক) অনুচ্ছেদেও অন্তর্ভূক্ত করেন। এরই ধারাবাহিকতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ খ্রি. থেকে অসহায় ছিন্নমূল, ভূীমহীন ও গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসনে প্রয়োজনীয় কর্যক্রম গ্রহণ করেন। তার এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ১৯৯৭ খি. থেকে শুরু হয় আশ্রায়ণ প্রকল্প। এই আশ্রায়ণ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসন কর্যক্রম চলমান রয়েছে। মুজিববর্ষে ‘বাংলঅদেশের একজন মানুষও গৃহহীণ থাকবেনা’- মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীণ মানুষের বাসস্থান নিশ্চিতকল্পে একক গৃহ নির্মাণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আশ্রায়ণ প্রকল্পের অধীনে হোমনা উপজেলায় গৃহ নির্মাণ চলমান রয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ২৭টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫০টি ঘর দেওয়া হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ে ৫৬টি ঘর উপহার দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে ৫৬টি মধ্যে মাথাভাঙা ইউনিয়নের ভঙারচর গ্রামে ২৪টি নির্মিত হচ্ছে। এগুলোরই কাল (মঙ্গলবার) উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিতি আরও জানান, উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে উৎসবমূখর পরিবেশে ২৪ জন উপকারভোগীর মাঝে জমি ও ঘরের যাবতীয় দলিলসহ হস্তান্তর করা হবে। এ সময় তিনি প্রিন্ট ও ইলেকট্রকি মিডিয়ার সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নেরও উত্তর দেন।