দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি সংকটের কারণে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় মহাসড়কে অন্তত ৬কিলোমিটার জুড়ে নদী পারের অপেক্ষায় বিভিন্ন যানবাহন আটকা পড়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এ নৌরুটে ফেরি বহরে ১৯ টি ফেরির মধ্যে ১৭টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করছে।
সোমবার সকাল থেকে দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত অন্তত ৬ কিলোমিটার এলাকায় পদ্মা নদী পাড়ি দিতে আসা যানবাহনের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়। এর আগের মধ্য রাত থেকে ভোর পর্যন্ত নদী পারের অপেক্ষমাণ যানবাহনের সারি আরো দীর্ঘ ছিলো।
সরেজমিন সোমবার সকালে দৌলতদিয়া ঘাটে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার জুড়ে পচনশীন পন্যবাহি ট্রাক ও যাত্রীবাহি বাস এবং এরপর থেকে গোয়ালন্দ বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত সাধারন পন্যবাহী ট্রাক দীর্ঘ সিরিয়ালে আটকে রয়েছে। তীব্র রোদ ও গরমে বাস যাত্রী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা চরম দূভের্োগ পোহাচ্ছেন। যাত্রীদের অনেকেই প্রচন্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
এদিকে সাধারন পন্যবাহি ট্রাক গুলোকে ফেরির নাগাল পেতে দিনের পর দিন মহাসড়কে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। ফলে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন চালক ও হেলপাররা।
বিআইডব্লিউটিসি কতৃপক্ষ জানায়, ঈদের আগের পাঁচ দিন ও পরের ৫দিন পণ্যবাহি ট্রাক পারপার বন্ধ রাখা হবে, এ কারণে পণ্যবাহি ট্রাকের অতিরিক্ত চাপ রয়েছে। যে কারণে ঘাট এলাকায় যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এই রুটে ছোট-বড় মিলে ১৯টি ফেরির মধ্যে ১৭টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। দুইটি ফেরি স্থায়ী মেরামদের জন্য বেশ কিছুদিন নারায়নগঞ্জ ডকইয়ার্ডে রয়েছে। এ ছাড়া আরো দু’টি ফেরি হালকা মেরামতের জন্য পাটুরিয়া ভাসমান কারখানা মধুমতিতে কাজ চলছে। তবে এ ফেরিগুলো ঈদের আগেই বহরে যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে।