পাবনার সুজানগরে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আবার ব্যাপক লোডশেডিং শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহ হলো সুজানগর পৌরসভাসহ উপজেলার সর্বত্র যখন তখন লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। একদিকে বৈশাখের প্রচ- তাপদাহ অন্যদিকে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও ব্যাংক কর্মকর্তা আতাউর রহমান জানান, আগে সকাল এবং সন্ধ্যায় নির্দিষ্ট একটি সময়ে লোডশেডিং দেওয়া হতো। এ সময় বিদ্যুৎ গ্রাহকরা লোডশেডিংয়ের ওই সময়ের সাথে মিল রেখে বিদ্যুৎ নির্ভর কাজ গুলো আগেভাগে সেরে ফেলতেন। কিন্তু বর্তমানে সেই সুযোগ আর নেই। এখন আর নির্দিষ্ট কোন সময়ে লোডশেডিং দেওয়া হয়না। গত ৬/৭দিন হলো সকাল, দুপুর, বিকাল ও সন্ধ্যা ঠিক নাই যখন তখন লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। এতে পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২’র আওতাধীন সুজানগর আঞ্চলিক অফিসের হাজার হাজার গ্রাহকদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে শিক্ষার্থীদের লেখা-পড়া এবং এলাকার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি অফিস-আদালতের কাজ-কর্ম বিঘিœত হচ্ছে। উপজেলার কুড়িপাড়া গ্রামের তাঁত মালিক আসাদুজ্জামান রোকনসহ অনেকে বলেন বর্তমানে অধিকাংশ তাঁত শিল্প বিদ্যুৎ নির্ভর। তাছাড়া আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে তাঁত পল্লী এখন আরও ব্যস্ত। অথচ ইদানীং ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে তাঁতের তৈরী বিশেষ করে শাড়ি ও লুঙ্গি উৎপাদন চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ওই আঞ্চলিক অফিসের ডিজিএম বলেন চাহিদার তুলনায় বিদ্যুতের বরাদ্দ কিছুটা কম। পাশাপাশি প্রচ- তাপদাহে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিচ্ছে। ফলে লোডশেডিং দেখা দিচ্ছে।