মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা ঈদের উপহার হিসেবে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় তৃতীয় ধাপে অসহায়, দুস্থ ও ভূমিহীন ৩০জন পরিবারের মধ্যে বিনামূল্যে ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশে একযোগে হস্তান্তর কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কালাই উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠানটি কালাই উপজেলা সভাকক্ষে বড় পর্দার মাধ্যমে দেখানো হয়। ওই উদ্বোধন শেষে কালাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন প্রধান অতিথি হিসেবে উপজেলার অসহায়, দুস্থ ও ভূমিহীন ৩০জন পরিবারের মধ্যে বিনামূল্যে ২শতাংশ জমির দলিল, খতিয়ান, গৃহপ্রদানের সনদসহ ঘরের চাবি হস্তান্তর করে তাদের ফুলের শুভেচ্ছা জানান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কালাই উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্তবাবধানে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়-২ প্রকল্পের আওতায় মুজিববর্ষে অসহায়, দুস্থ ও ভূমিহীন পরিবারকে দেওয়া তৃতীয় ধাপের ঘরগুলো অধিক টেকসই ও দুর্যোগ সহনশীলভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। নির্মাণ কাঠামো বেশ মজবুত করা হয়েছে। ভবনের গ্রেট ভিম, সিসি কলাম ঢালাই, টানা লিংক ও মেঝেতে সিসি ঢালাই দেওয়া হয়েছে। এতৃতীয় ধাপে উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের ১৬টি, জিন্দারপুর ইউনিয়নের ১২টি ও আহম্মেদাবাদ ইউনিয়নের ২টি অসহায়, দুস্থ ও ভূমিহীন পরিবাররা মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা ঈদের উপহার হিসেবে বিনামূলে দুই কক্ষবিশিষ্ট সেমিপাকা ঘর পায়েছেন। প্রতিটি ঘর ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫শ টাকা ব্যয়ে ২ শতাংশ খাসজমিতে দুই কক্ষ বিশিষ্ট সেমিপাকা ঘর, বারান্দা, রান্নাঘর, সুপেয় পানি, বিদ্যুৎ সংযোগ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থাসহ অন্যান্য সুবিধা রয়েছে।
এ উপলক্ষ্যে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। ওই আলোচনা সভায় উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ছাইফুল ইসলাম-এর সঞ্চালনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার টুকটুক তালুকদার এর সভাপতিত্বে প্রধানর অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কালাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো.মিনফুজুর রহমান মিলন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. হেলাল উদ্দীন মোল্লা, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা. সাবানা আক্তার, কালাই পৌরসভার মেয়র মোছা.রাবেয়া সুলতানা, কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মুঈনদ্দীন,উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফজলুর রহমান, উপজেলা বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মুনীশ চৌধুরী, উপজেলার কৃষি অফিসার মোছা.নীলিমা জাহান প্রমুখ।
এসময় উপকারভোগীরা হাতে জমির দলিল ও ঘরের চাবি পেয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে উপজেলার জিন্দারপুর ইউনিয়নের পারভিন, আবু তাহের, ও আহম্মেদাবাদ ইউনিয়নের ফরিদ হাসান জানায়, অনেক দিন যাবত তাদের বৃদ্ধ মা-বাবা ও সন্তানদের নিয়ে রাতযাপনের জন্য ভাঙাচোরা ঝুপড়িঘরে থেকেছিল। প্রধানমন্ত্রী এখন তাদের জন্য অনেক সুযোগ-সুবিধা করে দিয়েছেন। তারা সবাই নিজের ঘরে একটু স্বস্তির জীবন করতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের মায়ের দায়িত্ব পালন করেছেন বলে তারা জানান।