খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার রঘুনাথপুর বাজারের কাছে প্রতিষ্ঠিত আফিয়া ক্লিনিকে গত ১৯ এপ্রিল রুদাঘরা গ্রামের কালাম গাজীর স্ত্রী তাসলিমা বেগম (৩০) নামে এক রোগীর টিউমার অপারেশন করা হয়। কিন্তু রোগীর অপারেশন পরবর্তি সময়ে প্রচন্ড শ্বাস কষ্ট ও খিঁচুনি হলে ক্লিনিক মালিক জাহাঙ্গীর হোসেন রোগীকে খুলনা মেডিকেল
কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।
সেখানে পরদিন তাসলিমা বেগম মারা যান। ক্লিনিক
মালিক সুচতুর জাহাঙ্গীর হোসেন ঘটনা ধামাচাপা দিতে রোগীর স্বজনদের ম্যানেজ করে
তড়িঘড়ি লাশ দাফন করতে উদ্ভুদ্ধ করে। তাছাড়া বিষয়টি যাতে প্রচার না হয় সেজন্য সংবাদকর্মীদের না জানানোর জন্য বলে আসে। কিন্তু বিষয়টি চাপা থাকেনি। বিভিন্ন পত্র- পত্রিকায় অপমৃত্যুর এই ঘটনাটি প্রকাশিত হয়। খুলনা সিভিল সার্জন অফিস ও ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্হ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতা ডাঃ সুফিয়ান রুস্তম রোববার ক্লিনিকটি পরিদশন করেন।
তিনি জানান, আফিয়া ক্লিনিক রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত তাই ক্লিনিকটি সম্পূর্ণ বন্ধ না করে শুধুমাত্র অপারেশন কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ক্লিনিকের কাগজপত্র জব্দ করে আনা হয়েছে। ক্লিনিকে যে সকল চিকিৎসক রোগি দেখেন বলে নাম প্রচার করা হয়েছে সেসব যাচাই বাছাই করা হচ্ছে।
এদিকে দুই বছরের শিশু তামান্না সব সময় মা মা বলে কান্না কাটি করছে। তার বাবা কালামের কাছে রয়েছে শিশু তামান্না। তাসলিমার স্বামী কালাম গাজী তাসলিমার এই মৃত্যুকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করেছেন। তিনি সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার চেয়েছেন প্রশাসনের কাছে। তিনি বলেন, আমার স্ত্রীর মত আর যেন রোগী চিকিৎসকের ভুল অপারেশনে মারা না যায়।