সকাল বা সন্ধ্যার সাথে যানবাহনের ভাড়া বৃদ্ধির কোন সম্পর্ক নেই। অথচ পাবনার সুজানগরের বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী সিএনজি চালকরা দিন শেষে সন্ধ্যা নামলেই যাত্রীদের জিম্মি করে মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। বিশেষ করে সুজানগর-চিনাখড়া সড়কের সিএনজি চালকদের কাছে যাত্রীরা একদমই জিম্মি।
ভুক্তভোগী যাত্রীরা জানায়, সুজানগর-চিনাখড়া সড়কের দূরত্ব মাত্র ১১কিলোমিটার। আর মাত্র এই ১১কিলোমিটার সড়কে যাত্রী প্রতি ভাড়া নেওয়া হয় ৪০টাকা করে। এরপর আবার সন্ধ্যা হলে ৪০টাকার ভাড়া বাড়িয়ে ৫০ থেকে ৬০টাকা পর্যন্ত নেওয়া। উপজেলার মানিকদীর গ্রামের ভুক্তভোগী যাত্রী ফজলুর রহমান বলেন সুজানগর-চিনাখড়া-সড়কে বাস চলাচল করেনা। এ রুটের যাত্রীরা সিএনজির ওপর নির্ভরশীল। আর এ সুযোগে সিএনজি চালকরা তাদের ইচ্ছামতো ভাড়া আদায় করে। বিশেষ করে তারা সন্ধ্যার পর যাত্রীদের জিম্মি করে ভাড়া আদায় করে থাকে। আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে এর মাত্রা আরো বেড়ে গেছে। একই এলাকার যাত্রী হায়দার আলী বলেন দিনে যাত্রী প্রতি ৪০টাকা ভাড়া নেওয়া হয়। আর সন্ধ্যা বা একটু রাত হওয়া মাত্রা ভাড়া বাড়িয়ে ৫০ থেকে ৬০টাকা আদায় করা হয়। যাত্রীরা মাত্রাতিরিক্ত ওই ভাড়া না দিলে চালকরা সিএনজি বন্ধ করে বসে থাকে। ফলে যাত্রীরা বাধ্য হয়ে মাত্রাতিরক্ত ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছায়। আর যদি কোন যাত্রী মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া না দেয় তাহলে তাকে সিএনজি স্ট্যান্ডে বসেই রাত কাটাতে হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রওশন আলী বলেন মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।