পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বুধবার বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়নে হত দরিদ্রদের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়। বিতরন করা চাল ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ উঠেছে সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাহিদ সুলতানা তৃপ্তি বিরুদ্ধে। উপকার ভোগীদের করা অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিন সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় গিয়ে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে।
সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়নের ১ হাজার ৫০২টি পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। বুধবার সকাল ১০টা থেকে চাল বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়। চাল নেয়ার পর ওজন কম দেয়াকে কেন্দ্র করে উপকার ভোগীরা বিতরণ এলাকায় হৈ চৈ করতে থাকে। বিষয়টি অনেকে চেয়ারম্যানকে জানানোর চেষ্টা করলে চেয়ারম্যান তাঁদের তথায় কোন কর্ণপার করেনি। ঘটনা জানার পর সেখানে সংবাদ কর্মিরা হাজির হলে লোকজন ওজনে কম দেয়ার বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান। ঘটনাস্থলে চাল পাওয়া সান্দিড়া গ্রামের রতœা হালদার, মৈামিতা, পানলা গ্রামের রীনা বেগম, আঁিখ আক্তার, হালিমা, আরিফা, দমদমা গ্রামের খলিলুর রহমানসহ ১০ থেকে ১৫ জনের চাল একটি দোকানে নিয়ে গিয়ে ওজন করা হলে প্রত্যেকের চালের ওজন আট কেজি থেকে সাড়ে আট কেজি পাওয়া যায়। পানলা গ্রামের রীনা বেগম, তিনি সাড়ে আট কেজি চাল পেয়েছেন। বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি বলেন, আমি পাঁচ কেজি করে চাল দেব, কারো কিছু করার থাকলে করতে পারে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদের কয়েকজন ইউপি সদস্য বলেন, চেয়ারম্যান চাল বিতরন কাজে আমাদের কে না রেখে তাঁর দলীয় নেতা-কর্মি ও নিজস্ব লোকজন দিয়ে বিতরন কাজ করেছেন। কোন প্রকার ওজন যন্ত্র ব্যবহার না করে বালতি দিয়ে ইচ্ছে মত চাল দেওয়া হচ্ছে আর এ কারণে সকলে কম চাল পেয়েছেন। এ বিষয়টি নিয়ে সান্তাহার ইউপি চেয়ারম্যান নাহিদ সুলতানা তৃপ্তির মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেন নি। এ বিষয়ে আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্রাবণী রায় বলেন, বিষয়টি দেকভালের জন্য সেখানে একজন ট্যাগ অফিসার নিয়োগ করা আছে তিনিই বিষয়টি দেখবেন। পরে দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার উপজেলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক আমিনূল ইসলাম বালতি দিয়ে চাল দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বালতির মাপ চেয়ারম্যান ঠিক করে দিয়েছেন। এরপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।