বড় ভাইকে খুন করে ভারতে পালানোর চেষ্টাকালে ছোট ভাই হাফিজুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার মধ্যরাতে যশোরের বিরামপুর এলাকার মোফাসা নামে এক ব্যক্তির ১০ তলা ভবন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। হাফিজুর ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার পিরোজপুর গ্রেফতার মৃত মুজিবর মাষ্টারের ছেলে ও বড় ভাই ফজলুর রহমান হত্যা মামলার প্রধান আসামী। বুধবার ঝিনাইদহ পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্র্রিফিংয়ে এডিশনাল এসপি আনোয়ার সাঈদ জানান, পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া জমি নিয়ে দুই ভায়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলে আসছিল। সেই বিরোধের সুত্র ধরে মঙ্গলবার দুপুরে বড় ভাই ছোট ভাইয়ের দোকানে যায়। সেখানে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে হাফিজুর রহমান ছুরি দিয়ে তাকে হত্যা করে।হত্যার পর রেডি পাসপোর্টে আসামি হাফিজুর রহমান ভারতে পালানোর জন্য যশোরে তার এক বন্ধুর বাড়িতে আত্মগোপন করে। ঘন ঘন অবস্থান পরিবর্তন করায় পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়। পুলিশ তথ্য প্র্রযুক্তি ব্যবহার করে তার অবস্থান সনাক্ত করতে সক্ষম হন। ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশারের নেতৃত্বে পুলিশের চারটি টিম এই অভিযানে অংশ নেয়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে আসাদুজ্জামান টিপু বাদি হয়ে চাচা হাফিজুর রহমান ও চাচি লাইলাতুন্নেছা তোতাকে আসামি করে মামলা করেন। কালীগঞ্জ থানার ওসি আবদুর রহিম মোল্লা জানান, নিহত হওয়ার ১০ ঘন্টা পর পুলিশ প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হলো। এ ছাড়া যে ছুরি দিয়ে বড় ভাইকে হত্যা করা হয়েছিল সেটিও উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে বড় ভাইকে খুনের বিষয়ে হাফিজুর রহমান রহমান জানান, জমি দখল আর পৈত্রিক জমির বন্টন নিয়ে মিথ্যা অপবাদ শুনতে শুনতে তিনি অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন। ঘটনার দিনও তার হোমিও দোকানে এসে বড় ভাই এমন অপবাদ দিতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি রাগ ও ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে ছুরি দিয়ে হামলা চালান।