বন বিভাগ শেরপুরের নালিতাবাড়ী থেকে
লাইসেন্সবিহীন একটি হাতি উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর ওই
হাতির মাহুত আবদুর রউফকে(২৪) গ্রেফতার করে পুলিশ।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) সকালে উপজেলার বনকূড়া এলাকা থেকে হাতিটি উদ্ধার করা
হয়। পরে মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো
হয়। রউফ ওই এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে। তবে হাতির মালিক
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রাজকান্দি গ্রামের আব্দুল।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, হাতির মাহুত আবদুর রউফ মালিক আবদুল করিমের
কাছ থেকে ভাড়ায় এনে হাতি দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানের হাটবাজারে অবৈধভাবে
চাঁদাবাজি করে আসছিল। রোববার (২৪ এপ্রিল) নালিতাবাড়ী উপজেলার বনকুড়া
গ্রামে শিকলবন্দী ওই হাতিটি পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের
নজরে আসলে তারা বন বিভাগ ও পুলিশ প্রশাসনকে অবগত করেন। পরে বন বিভাগের
কর্মকর্তারা হাতিটি উদ্ধার করে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে
মামলা দায়ের করার পর পুলিশ আবদুর রউফকে গ্রেফতার করে।
মামলার বাদী বন বিভাগের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা মঞ্জুরুল আলম বলেন, হাতি
পালনের বৈধ কাগজপত্র না থাকায় হাতির মালিক আবদুল করিম ও মাহুত আব্দুর
রউফের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে শেরপুরের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুমন
সরকার বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে হাতিটি উদ্ধার করে মধুটিলা
ইকোপার্কে রেখে দিয়েছি। হাতি লালন-পালনের বৈধ কোনো কাগজপত্র না থাকায়
তাদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ এর ৩২/(১) ক এবং ২৪
(১)/৪৯ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় হাতির মাহুত কারগারে গেলেও
মালিক পলাতক রয়েছে।