বাগেরহাটের শরণখোলায় ১ দিনের ব্যবধানে দুটি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের চালিতাবুনিয়া গ্রামের রহিমন বেগম (৪৫) নামের এক নারীর এবং সোমবার রাত ৮টার দিকে খোন্তাকাটা ইউনিয়নের জীবনদুয়ারী গ্রামের দুলাল হাওলাদার (৩০) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। একটি লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার সকালে রহিমনের লাসের ময়নাতদন্ত্রের জন্য বাগেরহাট মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় পৃথক অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
নিহত রহিমন বেগমের ছেলে আ. রহিম জানান, তাদের সঙ্গে প্রতিবেশীদের জমি নিয়ে দ্বন্দ চলছে। এর জেরে সোমবার সন্ধ্যার পর প্রতিবেশী বাদল হাওলাদার ও তার স্ত্রী লাকী বেগম তাদের বাড়িতে ঢুকে তার মাকে মারধর করে। এতে তার মা রহিমন বেগম মারাত্মকভাবে আহত হন। ঘটনার পর চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের কাছে নেওয়ার চেষ্টা করা হলে তাতেও বাধা দেয় হামলাকারীরা। এ অবস্থায় তাকে বাড়িতে রাখা হলে মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে মারা যান তিনি।
অপরদিকে দুলালের বাবা রহুল আমীন হাওলাদার জানান, সোমবার বিকেলে পার্শ্ববতী আমগাছিয়া বাজারে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয় তার ছেলে। সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে বাড়ি থেকে আধাকিলোমিটার দূরে একটি খালে লাশ ভাসতে দেখে তাদের খবর দেয় পথচারীরা। পরে রাতে পুলিশ এসে লাশ থানায় নিয়ে যায়। রুহুল আমীন হাওলাদার আরো জানান, তার ছেলে একটু সহজ-সরল প্রকৃতির। তার কোনো শত্রু নেই। ছোটবেলা থেকেই তার মৃগী রোগ আছে। মৃগী ওঠে খালে পড়ে মারা গেছে তার ছেলে বলে জানান তিনি।
শরণখোলা থানার ওসি মোঃ ইকরাম হোসেন বলেন, নিহত রহিমন বেগমের এবং দুলালের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়ার জন্য ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে পৃথক পৃথক অপমৃত্যুর মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।