পাবনার চাটমোহরে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়ে গেল কুরআনের মু’জিযা হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা। বুধবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চাটমোহর ঐতিহাসিক শাহী মসজিদ চত্বরে এ প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতার ফাইনালে চারটি গ্রুপে ২১ জন প্রতিযোগি অংশ নেন।
প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান মেহমান ও বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক ক্বারী ও হুফফাজের বিশেষ প্রশিক্ষক ক্বারী জহিরুল ইসলাম। তার সাথে সহকারি বিচারক হিসেবে ছিলেন বোয়ালমারী হাজী আব্দুল্লাহ শিশু সদন ও হাফিজিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম হাফেজ মোঃ নুরুজ্জামান ও আল মাদ্রাসাতুল আমানিয়া দারুল কুরআন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হাফেজ মোঃ মাহমুদুজ্জামান মাসুম। আজিজ অ্যান্ড সন্স ও টিম আর স্কয়ারের সৌজন্যে আয়োজিত প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
প্রতিযোগিতার ৩০ পারা গ্রুপে প্রথমহয়েছেন জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসার ইব্রাহিম হোসেন,দ্বিতীয় চাটমোহর মোহাম্মদ আলী হিফজুল কুরআন ক্বওমী মাদ্রাসার হাসানুর রহমান ও তৃতীয় হয়েছেন বাহাদুরপুর জামিয়া ইসলামিয়া ক্বওমীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার উসামা লোকমান।
২০ পারা গ্রুপে প্রথম বেজপারা সম্মিলিত হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার জুয়েল রানা হৃদয়,দ্বিতীয় বাহাদুরপুর জামিয়া ইসলামিয়া ক্বওমীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার তারেক জামিল এবং তৃতীয় বোয়ালমারী হাজী আব্দুল্লাহ শিশু সদন দুস্থ কল্যাণ ক্বওমী হাফিজিয়া মাদ্রাসার মারুফ হোসেন।
১০ পারা গ্রুপে প্রথম চড়ইকোল হাফিজিয়া মাদ্রাসার জাহিদ হাসান, দ্বিতীয় চাটমোহর দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসার আহসান হোসেন ত্বাসিম ও তৃতীয় চাটমোহর দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসার মো. হাবিবুল্লাহ। ৫ পারা গ্রুপে প্রথম কুয়াবাসী আলহাজ¦ মহির উদ্দিন হাফিজিয়া মাদ্রাসার ফজলে রাব্বী,দ্বিতীয় চাটমোহর দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসার আব্দুল্লাহ হুসাইন ও তৃতীয় মাদ্রাসায়ে আব্দুল্লহ ইবনে আব্বাস (রা.) হাফিজিয়া এতিমখানার নাহিদ হোসেন।
পুরস্কারের মধ্যে নগদ অর্থ। অর্থ পুরষ্কারের সাথে প্রত্যেককে বই, ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেয়া হয়।
গত ১৭ এপ্রিল প্রতিযোগিতার প্রথম বাছাই পর্ব ৫টি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে চারটি গ্রুপে ১৭০ জন প্রতিযোগি অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্য থেকে ৭২ জনকে দ্বিতীয় রাউন্ডের জন্য মনোনীত করা হয়। এরপর ২৩ এপ্রিল প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় রাউন্ড চাটমোহর মডেল মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অংশ নেয়া ৭২ জন প্রতিযোগির মাঝ থেকে ২১ জনকে ফাইনালের জন্য নির্বাচিত করা হয়। বিভিন্ন হাফিজিয়া মাদ্রাসার ১২ জন শিক্ষক বিচারক হিসেবে তাদের বাছাই করেন। প্রতিযোগিতার ব্যবস্থাপনায় ছিল দ্য রিয়েল জীম।