শেরপুরে মাটির রাস্তায় ইট বিছানো কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ। নি¤œ মানের ইট,বালু আর মাটি দিয়ে সম্পন্ন করা হচ্ছে সরকারি রাস্তার কাজ। এত অনিয়ম হলেও যেন দেখার কেউ নাই।
অভিযোগে জানা যায়, শেরপুর উপজেলার ৫নং মির্জাপুর ইউনিয়নের ব্র্যাক বটতলা থেকে রাণীভবানী মন্দির পর্যন্ত রাস্তার সাগরপুর পর্যন্ত ১১০০মিটার মাটির রাস্তায় ইট বিছানো কাজ শুরু হয় এবছরের ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে। শেরপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন(পিআইও)অফিসের তত্বাবধানে ৩ মিটার প্রস্থ ওই ইটের কাজের জন্য সরকারি তহবিলের অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৬২লাখ ৫৪হাজার টাকা। এরপর গোপন টেন্ডারের মাধ্যমে সিডিউল জমায় লেস বাদে কাজের মূল্য দাঁড়ায় ৫৯লাখ ৪১হাজার ৩০০টাকা। বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ফুয়াদ এন্টারপ্রাইজ এর পক্ষে জনৈক সুমন হোসেন ওই কাজ শুরু করেন। মাটির রাস্তায় দুই স্তরের সোলিং আর হেরিংবোম সহ গাইড নির্মান এবং ১টি বক্স কার্লভাট ও ২টি রিং পাইপ বসানোর নির্দেশ দেয়া থাকলেও নির্ধারিত সময়ের এক সপ্তাহ পরেও কাজ সম্পন্ন হয়নি। সেইসাথে ইট বিছানোর সময় নীচের তালপাতা আর ওপরে খেজুরপাতার ইটের গাঁথুনীর মাঝে বড় ধরনের ফাঁকে ফাঁকে মাটি-বালু দিয়ে ভরাট করার অভিযোগ আছে। এলাকাবাসীর অভিযোগে জানা যায়, রাস্তার কাজে ১নন্বর এবং প্রিকেট ইট ব্যবহার করার নিয়ম থাকলেও বর্তমান মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিজস্ব ইট ভাটার নি¤œ মানের ইট সেখানে ব্যবহারের কথা স্বীকার করেন ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ মো.জাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, যেহেতু কাজ টা আমার ইউনিয়নের ভেতরে হচ্ছে, তাই আমি ৯হাজার ৮০০ টাকায় প্রতি হাজার ইট দিয়েছি। সেখানে প্রায় ২লাখের ওপরে ইট দেয়া হয়েছে। তিনি আরও স্বীকার করেন, এক নন্বর ইটের পাশে কিছু ২নং ইট ঢুকতে পারে। এ বিষয়ে ওই কাজের দায়িত্বে থাকা শেরপুর উপজেলা পিআইও অফিসের সাব-অ্যাসিসেন্ট ইঞ্জিনিয়ার রাসেল জানান, দেশের কোথাও বিএসটিআই এর মান অনুযায়ী ইট প্রস্তুত হয় না। তাই কিছু নি¤œ মানের ইট ব্যবহার হতে পারে। আমার একার পক্ষে উপজেলার সকল উন্নয়নমূলক কাজ দেখা সম্ভব নয়।
এনিয়ে তৃতীয়-চতুর্থ বারের মত দায়িত্বে থাকা শেরপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোছা. শামছুন্নাহার শিউলী জানান, যদি ইটের কোন সমস্যা থাকে তা দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।