খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবদুস সালাম মূর্শেদীকে তেরখাদা উপজেলার শহীদ স্মৃতি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী সাজিয়ে প্রহসনের নির্বাচন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমপি সালাম মূর্শেদী নির্বাচনের বিষয়ে কোন কিছু না জানলেও সাজানো ওই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কাছে অর্ধেক ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন বলে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার-প্রচারনা চালাচ্ছে একটি মহল। এ ঘটনায় রূপসা ও তেরখাদা উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন মহল তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে এমপির প্রস্তাবকারী ছিলেন মোঃ তরিকুল ইসলাম, সমর্থনকারী ছিলেন মিসেস মোছাব্বেহা খানম (বেবী)। অথচ এইসব ব্যক্তিদের সাথে নির্বাচন নিয়ে এমপির কোন কথা হয়নি বলে জানা গেছে। এমপি আবদুস সালাম মূর্শেদীর প্রধান সমন্বায়ক নোমান ওসমানী রিচি বলেন, বর্তমান বিদ্যমান আইনে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে সংশ্লিষ্ট এলাকার সংসদ সদস্য দায়িত্ব পালন করতে পারবে না এ মর্মে ৩১ জুলাই ২০১৬ সালের মহামান্য হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে সর্বোচ্চ আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের বিষয়ে অর্ডার দিয়ে হাইকোর্টের রায় বহাল থাকবে বলে উল্লেখ করেন। রাষ্ট্রপক্ষ শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। রিট আবেদনকারী আইনজীবী ডক্টর ইউনুস আলী আকন্দ নিজেই শুনানি করেন। সংসদ সদস্য নিজে যেখানে সভাপতি হতে পারবেন না সেখানে তার প্রার্থী হওয়া অবান্তর ও হীন স্বার্থ চরিতার্থ করবার অপচেষ্টা মাত্র যা উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এ ব্যাপারে খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবদুস সালাম মূর্শেদী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ভালবাসা ও সমর্থনে আল্লাহপাক আমাকে মহান জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার তৌফিক দিয়েছেন। এর চেয়ে বড় সম্মান আর কি হতে পারে? যেখানে আমি রূপসা, তেরখাদা ও দিঘলিয়া উপজেলার গণমানুষের অভিভাবকের আসনে রয়েছি সেখানে বেআইনীভাবে একটি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির নির্বাচন করতে যাব কেন? তিনি বলেন আমার সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার লক্ষ্যে একটি মহল এমন কাজটি করেছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এদিকে আবদুস সালাম মূর্শেদী এমপি এক বিবৃতিতে বলেন-আব্দুস সালাম মূর্শেদী এমপি’র বিবৃতি তেরখাদা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শহীদ স্মৃতি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নিয়মিত পরিচালনা পর্ষদ গঠনে সমগ্র খুলনায় যে আলোচনার ঝড় উঠেছে সে সম্পর্কে মূলত ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার একটি অপচেষ্টা ও পায়তারা আমাদের কাছে পরীলক্ষিত হয়েছে। ঘটনা প্রবাহে একটি দুষ্টচক্র খুলনা-৪ নির্বাচনী এলাকার জনপ্রিয় সংসদ সদস্য জননেতা আবদুস সালাম মূর্শেদীর জনগণের মধ্যে অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপনের অপচেষ্টা করেছে। মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বয়ানে এরকম কথা প্রচার করা হচ্ছে যে খুলনায় তার নির্বাচনী এলাকায় জনপ্রিয় সংসদ সদস্য একটি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সভাপতি পদে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন। প্রকৃত ঘটনা মালা সম্পূর্ণ ভিন্ন।
একজন জাতীয় সংসদ সদস্যের খ্যাতিমান ব্যক্তি একটি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তা কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য ? মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সভাপতি নির্বাচনী কার্যক্রমে খুলনার নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য জননেতা আবদুস সালাম মূর্শেদী ঘুর্নাক্ষরেও অবগত ছিলেন না। জননেতা আবদুস সালাম মূর্শেদী কোন প্রকার লিখিত সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা স্বাক্ষরিত মনোনয়নপত্র জমা দেন নাই। একটি চক্র আবদুস সালাম মূর্শেদী এমপির জনসম্মুখে গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ করবে চক্রান্তের ফল হিসেবে আবদুস সালাম মূর্শেদী এমপিকে তেরোখাদা শহীদ স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রার্থী হিসাবে প্রচার করে।
এই নির্বাচনে তার পরাজয়ের কথা সামাজিক যোগাযোগ ও প্রচার মাধ্যমে প্রচার করে যে ঘৃণ্য অপতৎপরতা চালাচ্ছেন তা বুঝবার মত মেধা জনগণের আছে। এই সভাপতি নির্বাচনের পাতানো ঘটনায় নিশ্চয়ই একজন প্রিজাইডিং অফিসার দায়িত্ব পালন করেছেন। সেই নির্বাচনী কার্যক্রমে সংসদ সদস্য আবদুস সালাম মূর্শেদী এর স্বাক্ষরিত কোন মনোনয়নপত্র কি জমা পড়েছে?
প্রকৃত প্রস্তাবে এই সভাপতি পদে নির্বাচনে আবদুস সালাম মূর্শেদী এমপির মৌখিক কোন মতামত ওকি সেখানে নেওয়া হয়েছে? অথচ সামাজিক ও প্রচার মাধ্যমে একটি মহল ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রচার করছেন আবদুস সালাম মূর্শেদী এমপি সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরাজিত হয়েছেন। এই নিন্দনীয় ঘটনার অবসান হোক, শুভ ও বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের বিজয় হোক।