পবিত্র ঈদ-উল ফিতর সমাগৎ। আগামীকাল(২৯-৪-২২) থেকে সাপ্তাহিক ছুটি, মে দিবস সহ ঈদের ছুটি শুরু হওয়ায় প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরের লোকজনের বাড়িফেরা অব্যাহত রয়েছে। বিভিন্ন বাস-টার্মিনাল ও রেল স্টেশনগুলোতে এখন ঘড়মুখো মানুষের ভিড় বাড়ছে। এদিকে জনগনের যাত্রা নির্বিগ্ন করতে বাস টার্মিনাল ও রেলষ্টেশনে বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারি সংস্থার বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন রাখা হয়েছে। অপর দিকে ঈদ ঘনিয়ে আসায় সারাদেশে ঈদের বাজারগুলো বেশ জমে উঠেছে। চলছে আনন্দ মুখর পরিবেশে কেনাকাটা। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে বেচা-কেনা। রাজধানী, বিভাগ, জেলা-উপজেলা, গ্রামগঞ্জ সর্বত্র মানুষ তাদের সার্মথ্য অনুযায়ী পছন্দের জিনিষপত্র কিনছেন আগ্রহসহকারে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী (৩-৫-২২) বিপুল উৎসাহ-উদ্দিপনা ও ধর্মীয় ভাব গাম্ভির্যের মধ্যদিয়ে বিভাগীয় নগরী রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে ঈদ-উল-ফিতর উদ্যাপনের জন্য বিস্তারিত কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে সকালে সরকারি-বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। ঈদ উপলেক্ষে সিটি করপোরেশন নগরীর সড়ক ও সড়ক দ্বীপসমুহ জাতীয় পতাকা ও ঈদ মোবারক লেখা পতাকা দিয়ে সজ্জিত করেছে। রংপুরের ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে কালেক্টরেট ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৮ টায়। বৃস্টি হলে ঈদের প্রধান জামাত হবে রংপুর মডেল মসজিদে। একই সময়ে মুন্সিপাড়া ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া হযরত মওলানা কেরামত আলী (রহঃ) মাজার সংলগ্ন কেরামতিয়া মসজিদে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৯টায়।করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় এবারে জেলার ৫ হাজার ৯০টি মসজিদ সংলগ্ন এলাকার ঈদগাহ ও খোলা মাঠে ঈদের নামাজের সময় সূচী নির্ধারন করা হয়েছে। ঈদ জামাত গুলোতে প্রাণঘাতি রোগবালাই ও বিপর্যয় থেকে মুক্তি লাভ সহ দেশ ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হবে। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দিনের অন্যান্য কর্মসূচিতে রয়েছে- হাসপাতাল-এতিমখানা, কারাগার ও শিশু পরিবারগুলোতে বিশেষ খাবার পরিবেশন। বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্যান্য বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ও রেডিও স্টেশনগুলো বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে।