নীলফামারীর সৈয়দপুরে জমি নিয়ে দ্বন্দ্বে গুরুতর আহত হয়ে ৫ জন ১০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। ২৭ এপ্রিল উপজেলার বাংগালীপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ৪ জনসহ আরো অজ্ঞাতনামা ২০ থেকে ২৫ জনের নামে সৈয়দপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
জানা যায়, সৈয়দপুর টেকনিক্যাল কলেজ পাড়ার দুলাল হোসেন ও তার ভাই জাহিদুল ইসলাম,লক্ষণপুর দোলাপাড়ার আক্তার হোসেন ও তার ভাই আক্কাস আলি এবং তাদের ভাড়া করা লোকজন আমার উপর হঠাৎ হামলা করে। আমাকে রক্ষা করতে আমার স্ত্রী সামসুন্নাহার মনি এগিয়ে এলে তার মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করা হয়। আমার স্ত্রীর চিৎকার শুনে আমার শ্যালক আলমগীর এগিয়ে এলে তাকেও ধারাল ছুরি মেরে রক্তাক্ত করা হয়। এ সময় আমার শ্বাশুরী নাছিমা আক্তার,খালা শ্বাশুরী শেফালী বেগম,অপর শ্যালক নাদিম মাহমুদ,নাঈম মাহমুদ ও কবিতা খাতুন এগিয়ে এলে তাদেরকেও মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলা জখম করা হয়। এ অবস্থায় বিবাদীগন বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার হুমকি দিয়ে ঘটনা স্থান থেকে পালিয়ে যায়। পাশের লোকজন এগিয়ে এসে আহত ব্যক্তিদের সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে ভ্রতি করায়।
জমি নিয়ে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামীগন এ ঘটনা ঘটায় বলে জানান মামলার বাদী।
এদিকে থানায় অভিযোগ দেয়ার তিন দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ ঘটনা স্থান তদন্তে আসেনি। উল্টো বাদী পক্ষকে অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়। এ বিষয়ে ২৯ এপ্রিল বাদীর পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
এ ব্যাপারে বাঙ্গালীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শাহাজাদা জানান,দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনার কথা শুনেছি। বিষয়টি আমি মিমাংসা করার চেষ্টা করছি। সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আবুল হাসনাত খান জানান,অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ব্বে ব্যবস্থা নেয়া হবে।