হংকং ক্রিকেটের সহযোগিতায় ১ মে থেকে শুরু হচ্ছে ‘ফেয়ারব্রেক’ নামের আমন্ত্রণমূলক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টে। সেখানে সুযোগ পেয়েছেন বাংলাদেশের দুই নারী ক্রিকেটার জাহানারা আলম ও রুমানা আহমেদ। গতকাল শনিবার সকাল ৮টার ফ্লাইটে দেশ ছেড়েছেন তারা। যাওয়ার আগে রুমানা জানিয়ে গেছেন ১৫ দিনের এই টুর্নামেন্টে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার কথা। ফেয়ারব্রেক টুর্নামেন্টে জাহানারা খেলবেন টিম ফ্যালকনে। নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক সুজি বেটস থাকবেন টিম ফ্যালকনের নেতৃত্বে। জাহানারা ছাড়াও এ দলে আছেন ইংল্যান্ডের ড্যানি ওয়েইট, প্রোটিয়া ক্রিকেটার মারিজান কেপ, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্রিটনি কুপার, জার্মানির ক্রিস্টিনা গফ ও ভুটানের আঞ্জু গুরুং। অন্যদিকে অলরাউন্ডার রুমানা খেলবেন বার্মি আর্মি টিমের হয়ে। রুমানা সতীর্থ হিসেবে পাচ্ছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডিয়ান্ড্রা ডটিন, শেমাইন ক্যাম্পবেল, পাকিস্তানের ফাতিমা সানা, রুয়ান্ডার হেনরিয়েট ইসিমওয়ে ও ব্রাজিলের রবার্টা আভেরিকে। সব মিলিয়ে ছয় দল নিয়ে মাঠে গড়াবে টুর্নামেন্টটি। ১ মে শুরু হয়ে চলবে ১৫ মে পর্যন্ত। মেয়েদের ক্রিকেটে সংক্ষিপ্ত সংস্করণে এটিই বেসরকারি উদ্যোগের প্রথম টুর্নামেন্ট হতে যাচ্ছে। ক্রিকেট খেলুড়ে ৩০ দেশের নারী ক্রিকেটাররা এই টুর্নামেন্টে অংশ নেবেন। বিভিন্ন বিদেশি টুর্নামেন্টে জাহানারার খেলার অভিজ্ঞতা থাকলেও খুব একটা সুযোগ হয়নি রুমানরা। এর আগে ২০১৭ সালে বিগ ব্যাশে ব্রিসবেন হিটের হয়ে সুযোগ পেয়েছিলেন এ অলরাউন্ডার। তবে মাঠে নামতে পারেননি। রুমানা এবার স্বপ্ন দেখছেন ম্যাচ খেলার। সংবাদমাধ্যমে রুমানা বলেছেন, ‘আগে হয়তো ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি। এবার আশা করি সেই সুযোগটা পাবো। আমি দারুণ এক্সসাইটেড...। আশা করছি এখানে ম্যাচ খেলবো এবং ভালো কিছু করবো।’ এই ধরনের টুর্নামেন্টে খেলার মধ্য দিয়ে নিজেদের উন্নতি করা সম্ভব বলে মনে করেন রুমানা, ‘এই টুর্নামেন্ট নিয়ে আমি খুব সিরিয়াস। সত্যি কথা বলতে আমি রোমাঞ্চিতও। এইসব লিগে আমরা যত বেশি খেলবো, যত বেশি অংশ নিতে পারতো, ততই আমাদের জন্য ভালো। আমাদের উন্নতিটা দ্রুত হবে। কারণ আমরা বিভিন্ন সেরা ক্রিকেটারদের সঙ্গে মেশার সুযোগ পাবো। তাদের সঙ্গে ড্রেসিং রুম শেয়ার করতে পারবো। ফলে আমাদের উন্নতি করার সুযোগটা বেশ ভালো তৈরি হবে।’ প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে ‘উইমেন্স ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট লিগ (ডব্লুআইসিএল)’ নামে প্রতিষ্ঠিত হয় ফেয়ারব্রেক। মেয়েদের ক্রিকেটের সুযোগ-সুবিধার সঙ্গে বেতন-ভাতা বাড়ানোর লক্ষ্যেই এই টুর্নামেন্ট আয়োজন হচ্ছে।