প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তর কর্তৃক পুরাকীর্তি হিসেবে সংরক্ষিত হলো অস্কার বিজয়ী সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়িটি। রোববার (১ মে) সকালে জেলার কটিয়াদী উপজেলার মসুয়া গ্রামে অবস্থিত সত্যজিৎ রায়ের পৈত্রিক বাড়িতে প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তর কর্তৃক প্রদত্ত্ব একটি নোটিশ বোর্ড ও একটি হিস্টোরী বোর্ড সাটিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রতœত্ত্ব অধিদপ্তরের কিশোরগঞ্জের সাইট পরিচারক মোঃ আমিনুল হক, মসুয়া গ্রাম প্রধান সিরাজুল ইসলামসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
গত বছরের (২৯ ডিসেম্বর) কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়িটি পরিদর্শনে যান সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। পরিদর্শনে গিয়ে মন্ত্রী অস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের বাবা শিশু সাহিত্যিক ও জমিদার সুকুমার রায়ের পরিত্যক্ত বাড়ি রক্ষার জন্য প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেন।
এরই প্রেক্ষিতে চলতি বছরের (৩ জানুয়ারি) সংস্কারের কাজ শুরু করে প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তর। প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের সহকারী প্রতœতাত্ত্বিক রসায়নবিদ আবুল হোসেন, উপ সহকারী প্রকৌশলী মো. জাকারিয়া, ল্যাবরেটরি টেকনিক্যাল সহকারী সুলতান মাহমুদ ও ল্যাবরেটরি সহকারী মো. বেলায়ত হোসেন একদল শ্রমিক নিয়ে বাড়িটিরতে থাকা আগাছা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ সম্পন্ন করেন।
প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের সহকারী প্রতœতাত্ত্বিক রসায়নবিদ আবুল হোসেন জানান, মাননীয় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশে ঐতিহাসিক এ বাড়িটির সংস্কারের কাজ শুরু করা হয়। সংস্কারের প্রথম পর্যায়ে ভবনের উপর, ভবনটির উত্তর ও পূর্ব পাশে থাকা গাছপালা এবং জঙ্গল পরিষ্কার করে রাসায়ানিক দ্রব্য ব্যবহার করেছি। যাতে করে এখানে আর কোন নতুন গাছ না জন্মায়।
প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. জাকারিয়া জানান, পরিত্যক্ত এ ভবনটি প্রাথমিকভাবে পরিস্কার করে সংস্কারের জন্য একটি প্রাক্কলন তৈরি করেছি। আমাদের প্রস্তাবনাটি প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরে দাখিল করার পর অনুমোদন ও অর্থ বরাদ্দ হলেই বাড়িটির বর্তমান ডিজাইন ঠিক রেখে সংস্কার করা হবে। তবে বাড়িটিকে প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তর ইতোমধ্যে পুরাকীর্তি হিসেবে সংরক্ষণ করেছে। তাই নোটিশ বোর্ড ও হিস্টোরী বোর্ড সাটিয়ে দেওয়া হয়েছে।