আয় বন্ধু সবে মিলি এই প্রাণের উৎসবে এই শ্লোগানকে সামনে রেখে বন্ধুত্ব বন্ধন আর আনন্দ উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার সুন্দর মাহমুদ ইসলামিয়া একাডেমি স্কুলের এসএসসি ব্যাচ ২০০১ এর বন্ধু পূণর্মিলনী অনুষ্ঠান ওই স্কুল চত্বরে উৎসব মুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার সারা দিন ব্যাপী বিভিন্ন কর্মসুচির মধ্য দিয়ে পূণর্মিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসুচির মধ্য ছিল সকাল ৯টায় যে সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মৃত্যু বরন করেন তাদের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। সকাল ১০ টায় বেলুন ও পায়রা উঠিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সুচনা করা হয়। এরপর স্কুল চত্বর থেকে একটি বিশাল বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদিক্ষন করে। প্রিয় বন্ধুদের সাথে মিলিত হতে পেরে বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন তাঁরা। এ যেন এক অভূতপূর্ব প্রাণের মিলন মেলা। বেলা বেলা ১২ টার সময় পরিচিতি পর্ব, স্কুল জীবনের স্মৃতিচারণ, দুপুর ২টায় মধ্যাহ্ন ভোজ। বিকেল ৩ টায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্বে করেন সান্তাহার সুন্দর মাহমুদ ইসলামিয়া একাডেমি স্কুলের প্রধান শিক্ষক তহমিনা বেগম। বন্ধু পূণর্মিলনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন আদমদীঘি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খান রাজু, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্রাবণী রায়। অন্যন্যাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সান্তাহার সুন্দর মাহমুদ ইসলামিয়া একাডেমি স্কুলের সভাপতি আহম্মেদ আলী সরদার স্বপন, সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আরিফুল ইসলাম, নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসানুর আল-মামুন, সান্তাহার পৌরসভার মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু, সান্তাহার পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এস এম জাহিদুর বারী, সান্তাহার পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক এস এম আখতারুজ্জামান মিঠু, শিক্ষার্থী আরাফাত রহমান জনি, এমরান হোসেন রুয়েল, পাপন, রতন প্রমুখ।
স্বৃতি চারন করতে গিয়ে এসএসসি-২০০১ ব্যাচ শিক্ষার্থী সাকিব সারোয়ার রাজা বলেন, অনেক দিন পর আমরা স্কুলের বন্ধু-বান্ধবীরা মিলিত হয়েছি এক সাথে। জীবন বাস্তবতার সময়ের প্রয়োজনে আমরা প্রত্যেকে বিভিন্ন দিকে ব্যস্ত থাকি। সবার সাথে মিলিত হওয়ার সুযোগ খুব একটা আসে না। তাই সবার সান্নিধ্য পেয়ে ভালো লাগছে। আশা করি আগামীতেও আমরা এই পুনর্মিলনীর ধারা অব্যহত রাখেবো। এসএসসি-২০০১ ব্যাচের শিক্ষার্থী ইয়াসমিন আক্তার বলেন, দীর্ঘদিন পর সবাই একত্র হয়েছি। স্কুল জীবন কে ঘিরে বন্ধু-বান্ধবীদের সাথে কত স্বৃতি জড়িয়ে আছে। সবাই কে এক ফ্রেমে পেয়ে এগুলি স্বৃতিচারন করছি। বেশ ভালো লাগছে। আরেক কৃতী ছাত্র খায়রুল হাসান বাপ্পী বলেন, আমরা আজ সব বন্ধুরা মিলে এত বড় একটা মিলন মেলার অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পেরে আনন্দিত। সব বন্ধরা যদি আন্তরিক থাকে তাহলে প্রতি বছর এ রকম অনুষ্ঠান করতে পারবো বলে মনে করি। স্কুল থেকে পাস করে বের হয়ে যাওয়ার পর সবার সাথে মিলিত হবার সময় ও সুযোগ খুব একটা হয়ে উঠে না। আমরা যেন নিজের অস্তিত্বকে ভুলে না যাই, নিজের শেকড়কে ভুলে না যাই এটাই আমাদের প্রত্যাশা। আলোচনা শেষে বিকেলে র্যাফেল ড্র, প্রাক্তন শিক্ষকদের সম্মাননা স্মারক প্রদান। সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ওই ব্যাচের ১৫০ জন শিক্ষার্থীসহ পরিবারের সকল সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।