ভোলাহাটে বিভিন্ন ধরণের ভাতা ভোগিদের কাছ থেকে ব্যাংক এশিয়া মাক্রোমার্চেন্টের বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ করেছেন ভাতা ভোগিরা।
অভিযোগে জানা গেছে, ময়ামারি ব্যাংক এশিয়া এজেন্ট ব্যাংকিং এর আউটলেট ব্যাংক এশিয়া মাইক্রোর্চন্টকে জনপ্রতি ভাতা ভোগিকে ভাতা প্রদান করলে ৭টাকা সুবিধা দিয়ে থাকে। কিš‘ ব্যাংক এশিয়া মাইক্রোমার্চন্ট ভোলাহাট উপজেলার ইমামনগর গ্রামের মৃতঃ গিয়াস উদ্দিন মাষ্টারের ছেলে মোঃ বাইতুল আল মামুন(বাইতুল) বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধিসহ অন্যান্য ভাতা ভোগিদের কাছ থেকে অবৈধ ভাবে অতিরিক্ত ৪০ টাকা করে আদায় করছেন। তিনি গত ২১ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত ২৩জন এবং এর পূর্বে ৮৩জনকে ভাতার টাকা প্রদান করেছেন।
তিনি সরকারি নিয়মকে তোয়াক্কা না করে মৃত ব্যক্তির টাকাও উত্তোলন করে মৃত ব্যক্তির স্বজনকে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। গত ২৫ এপ্রিল মৃতঃ ব্যক্তি গোহালবাড়ী ইউনিয়নের সুরানপুর গ্রামের হাসুমুদ্দিনের ছেলে মৃতঃ হরমুজ আলী(বয়স্ক ভাতা)’র স্বজনকে ভাতা প্রদান করেছেন।
ভাতাভোগি বেরফুল জানান, তাঁর কাছ থেকে ৪০ টাকা নেয়ার পর তাঁকে টাকা দিয়েছেন। এছাড়াও এ মাক্রোমার্চন্টের বিরুদ্ধে শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা প্রদানের সময় অবৈধ ভাবে অতিরিক্ত ৫০ টাকা করে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যাংক এশিয়া খবর পেয়ে দ্রুত তাঁর সার্ভার ২ মে বন্ধ করে নেদেন বন্ধ করে দেয়।
এ ব্যাপারে ব্যাংক এশিয়া মাক্রোমার্চেন্টে মোঃ বাইতুল আল মামুন (বাইতুল) এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি অতিরিক্ত ৪০ টাকা করে নেয়নি। তবে খুশি হয়ে ভাতা ভোগিরা ১০/১৫ টাকা করে দিয়েছেন। মৃত ব্যক্তির টাকা দেয়ার ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান। সার্ভার কেন বন্ধ হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন নেটওর্য়াক সমস্যার কারণে সার্ভার বন্ধ হয়েছে।
এদিকে ব্যাংক এশিয়ার ভোলাহাট এরিয়া ম্যানেজার প্রভাষ চন্দ্র’র সাথে মুঠফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর সার্ভার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ মাক্রোমার্চন্টে অনিয়মের জন্য স্থায়ী ভাবে বন্ধ হবে বলে তিনি জানান।