মোটরসাইকেলের সঙ্গে ব্যাগ ঝুলিয়ে রাতে গ্রামের ভেতর ঘুরে ঘুরে মাদক বিক্রি করছিলেন এক ব্যক্তি। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তির গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় স্থানীয় লোকজন তাঁর পথ রোধ করে চ্যালেঞ্জ করেন। এরপর তাঁর ব্যাগ তললশি করে মাদকদ্রব্য পাওয়া যায়। পরে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ওই ব্যক্তিকে আটক করেছে।
বুধবার রাতে রাজশাহীর বাগমারার ভবানীগঞ্জের উত্তর একডালা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। মাদকসহ আটক ব্যক্তির নাম আনিছার রহমান (৩৮)। তিনি উপজেলার বড় বিহানালী ইউনিয়নের ছোটকয়া গ্রামের আবদুল জলিলের ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, গতকাল রাতে উত্তর একডালা স্কুলের মাঠে আনিছার মোটরসাইকেল নিয়ে ঘোরাফেরা করছিলেন। ওই ব্যক্তির আচরণে স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হয়। একপর্যায়ে স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি এসে মোটরসাইকেল থামিয়ে আনিছারের পরিচয় জানতে চান। এ সময় আনিছার অসংলগ্ন কথাবার্তা বলেন। পরে স্থানীয় লোকজন আনিছারের মোটরসাইকেলে থাকা ব্যাগের ভেতরে কী আছে, জানতে চাইলে আনিছার তাঁর মোটরসাইকেল রেখে পালানোর চেষ্টা করেন। পরে স্থানীয় লোকজন ওই ব্যাগ তললাশি করে কোমল পানীয়ের বোতল থেকে দেশি মদ উদ্ধার করেন। পরে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ মাদকসহ ওই ব্যক্তিকে আটক করে।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আনিছার রহমান নিজেকে মাদক ব্যবসায়ী বলে স্বীকার করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ঘুরে ঘুরে কোমল পানীয়ের বোতলে ফেনসিডিল, মদ, প্যাকেটে করে ইয়াবা ও গাঁজা বিক্রি করে আসছেন। আনিছার পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি মুঠোফোনের মাধ্যমে মাদকের অর্ডার নিয়ে ও দরদাম চূড়ান্ত করার পর ক্রেতার কাছে মাদক পৌঁছে দিতেন।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, পুলিশ রাতেই গ্রামবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে মাদকসহ এক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে। আজ সকালে মাদক মামলায় ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে মাদক ব্যবসায়ীকে আটকের পর রাতেই উত্তর একডালা গ্রামের স্থানীয় লোকজন একটি মাদক নির্মূল কমিটি গঠন করেছেন। গ্রামটি থেকে সব ধরনের মাদক নির্মূল করার জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। ওই গ্রামের বাসিন্দা ভবানীগঞ্জ পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আহাদ আলীকে সভাপতি করে ৩১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।