বরগুনা পাথরঘাটায় উপজেলা যুবলীগের নেতা মনিরুল ইসলাম মামুন বাসায় বসে ইয়াবা সেবন করেন। এ সময় স্ত্রী ফেরদৌসী আক্তার বাধা দিলে তাকে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর পরে বুধবার সন্ধার দিকে তিনি ১০৯ এ কল করে জানালে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করেন।
অভিযুক্ত মনিরুল ইসলাম মামুন পাথরঘাটা উপজেলা শাখার যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পাথরঘাটা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের মৃত জুলফিকার আলীর ছেলে।
স্ত্রী ফেরদৌসী আক্তার জানান, বুধবার বিকালে পৌর এলাকার তাদের নিজ বাসায় কয়েকজন বখাটেকে নিয়ে ইয়াবা সেবন করছিলেন মনিরুল ইসলাম মামুন। এ সময় তার স্বামাইকে বাধা দিলে তাকে শারিরীক নির্যাতন চালায় তার স্বামী। পরে ১০৯ কল করলে রাতে থানা থেকে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য এলে সেখানেও কিছু বখাটে নিয়ে এসে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
তিনি আরো বলেন, ২০২১ সালে পারিবারিকভাবে মনিরের সাথে তার বিয়ে হয়। দুই এক মাস ভালোভাবে সংসার করার পর দেখতে পাই মামুনের এসব ভয়ঙ্কর রূপ। ইয়াবার ব্যবসা সহ নিজেও মাদকাসক্ত এবং বিভিন্ন লোকের দ্বারা মাদক বিক্রি করান। বাসায় বসে প্রতি রাতে বখাটেদের সাথে ইয়াবা সেবন করতো, এ সময় বাধা দিলেই শুরু হয় তার উপর নির্যাতন। এ বিষয় নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হয়েছে বারবারই স্বামী মামুন বলেন, পরবর্তীতে ইয়াবা সেবন করবে না এবং ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু ১৫ দিন বা এক মাস পরে একই অবস্থা শুরু করেন তিনি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মনিরুল ইসলাম মামুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। উল্টো তার স্ত্রী ফেরদৌসী তাকে মারধর করতো। তার মুখের ব্যবহার খুবই খারাপ এবং আমরা পুরুষ জাঁতি এরকমের নারীর কারণে আজ নির্যাতিত।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ফাস্ট ট্রিটমেন্টের জন্য মেয়েটাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং আমরা লিখিত অভিযোগ হাতে পেয়েছি। তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।