কুমিল্লার হোমনায় ঈদের দিন মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টানা তিনদিনে সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত বিশ জনের হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এদের মধ্যে মোটর সাইকেলের ধাক্কায় ৮০ বছরের এক বৃদ্ধ পথচারী মারা গেছেন এবং আহত হয়েছেন অন্তত বিশ জন। তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় রেফার করা হয়েছে। বাকীরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। সূত্রে জানা যায়, বেশিরভাগই ঈদে আনন্দফূর্তি করতে বের হয়ে গতি ও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিকআপ, সিএনজি-অটোরিকশা ও মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ঈদের তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে হোমনা-বাঞ্ছারামপুর ওয়াই ব্রিজের নিচে ভুরভুরিয়া বাজার সংলগ্ন রাস্তায় মোটর সাইকেলের ধাক্কায় মো. কালু মিয়া (৮০) নামে এক বৃদ্ধ পথচারী মারা গেছেন। নিহতের স্বজনরা জানায়, হাজী কালু মিয়া (৮০) নামাজ পড়ে সাড়ে সাতটার দিকে মসজিদ থেকে বের হয়ে ওই রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এমন সময় দ্রুতগামী একটি মোটর সাইকেল পেছন দিক থেকে তাকে ধাক্কা দেয়। মাথায় আঘাত পেয়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। খবর পেয়ে স্বজনরা স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. লুৎফুন নাহার নিবিড় বলেন, হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ঈদের দিন মঙ্গলবার আহত হয়েছেন সর্বোচ্চ ১২ জন, দ্বিতীয় দিন ৪ জন এবং তৃতীয় দিনে ১ জন নিহত ও আহত হয়েছেন ৩ জন। হতাহতরা হলেন- নিলখী ইউনিয়নের ইটাভরা গ্রামের সজিব মিয়া (২০), একই গ্রামের শাকিল (১৭), মোজাম্লেল (১৫), শুভ (১০), নাহিদ (১০), মামুন (১৬) ও মাসুম (১৫), নিলখী গ্রামের রুহি (৩), ওপারচর গ্রামের ফয়সাল (২২), দুলালপুর ইউনিয়নের বায়েজিদ (১৭), ঘারমোড়া ইউনিয়নের ঘারমোড়া গ্রামের রাশেদ (১৫), ছোট ঘারমোড়া গ্রামের জুনাইদ (১৫), ঈদের দ্বিতীয় দিন বুধবার- ইটাভরা গ্রামের হাওয়া (৩০), কারারকান্দি গ্রামের বিল্লাল (২৮), পৌরসভার শ্রীমদ্দি গ্রামের শফিকুল (৪৮), বাঞ্ছারামপুরের কালিকাপুর গ্রামের ইউসুফ (১১) ও ঈদের তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার- ঘারমোড়া ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামের তাজমহল (৫৯), দুলালপুর ইউনিয়নের মঙ্গলকান্দি গ্রামের হাসান (২২), নিলখী ইউনিয়নের অযোধ্যানগর গ্রামের শাহজালাল (৩৭) আহত এবং বাঞ্ছারামপুরের ভুরভূরিয়া গ্রামের হাজী কালু মিয়া (৮০) নিহত হন।