ভোলাহাটে আমফাউন্ডেশন নির্বাচনে প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলা ও ছিনতাইয়ের শিকার এক ব্যক্তি সংবাদ সম্মেলনে করেছেন। ৭ মে সকালে ভোলাহাট প্রেসক্লাব কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, সন্ত্রাসী হামলা ও ছিনতাইয়ের শিকার উপজেলার চামুশা গ্রামের মোঃ মোজাম্মেল হকের ছেলে মোঃ ইয়াকুব আলী।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ১৪ মে আম ফাউন্ডেশন ভোলাহাটের নির্বাচনে সহ সভাপতি প্রার্থী মোঃ ইব্রাহীম সেলিমের পক্ষে ৪ মে চরধরমপুর বিন্দুপাড়া গ্রামে সন্ধ্যা ৭ টার দিকে গেলে উপজেলার ধরমপুর গ্রামের মোঃ বাবুর ছেলে মোঃ আবু সায়েম, পিতা অজ্ঞাত মোঃ দুলাল, পিতা অজ্ঞাত হৃদয়, মোঃ মুকুলের ছেলে সেলিম, মোঃ আমিনুলের ছেলে আরিফসহ ৭/৮ জন সন্ত্রাসি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালাই।
এ সময় আমার সাথে থাকা প্রার্থী মোঃ ইব্রাহীম সেলিম, সাবেক সেনা সদস্য মোঃ আমিনুল ইসলাম, মোঃ হারুন ও মোঃ মোরশালিম মৃত্যুর ভয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এ সময় আমার পাশে কেউ না থাকায় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেধড়ক পিটালে আমি আহত হয়ে জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়ি।
এ সুযোগে তাঁরা নগদ ১৩ হাজার ৫'শ, ১৭হাজার ৯'শ টাকার মোবাইল ও ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের ফ্রিডম মোটরসাইকেল ছিনতাই করে নিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় আমার বাবা ও স্থানীয়রা চিকিৎসার জন্য ভোলাহাট হাসপাতালে ভর্তি করে। এদের বিরুদ্ধে ৫ মে ভোলাহাট থানায় অভিযোগ করা হয়েছে বলে লিখিত বক্তব্যে জানান তিনি। এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবী করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আমফাউন্ডেশন নির্বাচনে সহ সভাপতি প্রার্থী মোঃ ইব্রাহীম সেলিম, সাবেক সেনা সদস্য মোঃ আমিনুল ইসলামসহ এলাকার মোঃ মুক্তা, মোঃ শহিদ রানা, মোঃ তৌহিদ, মোঃ রবিউলসহ আরো অনেকেই।
এব্যাপারে মোঃ আবু সায়েমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ ঘটনা আমি কিছুই জানিনা। টাংগন নদীর মোহনা ঘুরতে গিয়ে দেখি ইয়াকুবকে ঘিরে রেখেছে এলাকার লোকজন। সে নিজেকে পুলিশ দাবী করে চরধরমপুর বিন্দুপাড়া গ্রামের মোঃ আরিফের নিকট ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেই। তাঁর বাকি সহযোগিরা পালিয়ে যায়।
একই ঘটনায় বিন্দুপারার মোঃ আমিনুল ইসলামের ছেলে মোঃ আরিফ বলেন, আমি স্থানীয় এনজিওতে চাকরি করতাম। এর শাখা ম্যানেজার ছিলেন মোঃ ইব্রাহিম সেলিম। তাঁর সাথে জামানতের টাকা জের ধরে মোঃ ইয়াকুব আলী, সাবেক সেনা সদস্য মোঃ আমিনুল ইসলাম, মোঃ হারুন ও মোঃ মোঃ ইব্রাহিম সেলিম পুলিশ পরিচয় দিয়ে আমার বাড়ি ঘেরাও করে। বাড়িতে আমাকে না পেয়ে ফোন দেয়। তখন আমি আমার দুলাভায়ের কাছ থেকে ব্যবসার জন্য ৫০ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি আসছিলাম। পথে ঝাউবোনা ব্রিজের কাছে আসলে আমাকে তাঁরা ধরে পুলিশ পরিচয় দিয়ে আমার ৫০ হাজার টাকা মারধর করে ছিনিয়ে নেই। এ সময় আমার চিৎকারে স্থানিয়রা আসলে ইয়াকুবকে ধরলে বাকিরা পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে আমি থানায় অভিযোগ করেছি।
ভোলাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মাহবুবুর রহমান জানান, উভয় পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।