কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রোশন আলী মাষ্টারের বিরুদ্ধে সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপ ও বক্তব্যের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন করেছেন কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ দলীয় চার এমপি, জেলা সভাপতি, চারজন সহ সভাপতি, ২ জন যুগ্ম সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, ১৪ জন সম্পাদক ও ২১ জন নির্বাহী সদস্য।
শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দেবিদ্বার উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদসহ একাধিক নেতা। গত ১১ এপ্রিল ওই অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর করেন, এমপি সুবিদ আলী ভুইয়া, এমপি ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন, এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুল ও এমপি ডা. প্রান গোপাল দত্ত, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ম. রুহুল আমীন ভুইয়াসহ জেলা নেতৃবৃন্দ।
এছাড়া সম্প্রতি ইউপি নির্বাচনে জেলার মুরাদনগর, হোমনা, তিতাস, চান্দিনা ও দেবিদ্বার উপজেলার প্রার্থী তালিকা অগঠনতান্ত্রিকভাবে তৃণমূলের রেজুলেশন ছাড়া কেন্দ্রে পাঠানো ও এতে অর্থ লেনদেনের একাধিক অভিযোগ তোলা হয় রোশন আলী মাস্টারের বিরুদ্ধে। ইউপি নির্বাচনে তার কারণে দেবিদ্বার উপজেলার ১৪ ইউপির মধ্যে আওয়ামী লীগ ১০টি, মুরাদনগরের ২১টি ইউপির মধ্যে ১১ ইউপিতে পরাজিত হয় এবং এর মধ্যে দেবিদ্বারের ৩টি ইউপিতে নৌকা প্রার্থীর জামানাত বাজেয়াপ্ত হয়।
অভিযোগে আরো বলা হয়, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রোশন আলী মাস্টারের বিরুদ্ধে সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপে সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে এবং দলের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে। দেবিদ্বারের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা রুহুল আমিনের সঙ্গে সংগঠন বিরোধী এক ফোনালাপে রোশন আলী মাস্টার বলেন, যারা নৌকা করে তারা সবাই রাজাকারের বাচ্চা, এদেশে টাকা দিলে মন্ত্রিত্ব পাওয়া যায়, নমিনেশন পাওয়া যায়। তার এমন বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় ও গণমাধ্যমে শিরোনাম হন তিনি। যা ইতোমধ্যে ফাঁস হয়ে দলকে বিব্রত করেছে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ম. রুহুল আমীন বলেন, উত্তর জেলার ৫ জন এমপির মধ্যে ৪ জন এমপিসহ প্রায় ৫০ নেতার স্বাক্ষরে সাধারণ সম্পাদক রোশন আলী মাস্টারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর নিকট পাঠানো হয়েছে। তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
সাধারণ সম্পাদক রোশন আলী মাস্টার বলেন, দলে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতার কারণে গ্রুপিং-অভিযোগ থাকতেই পারে। তবে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলের বিষয়টি আমার জানা নেই।