অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটকের পর কারাভোগ শেষে দেশে ফিরেছে পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিক। বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া চেকপোষ্ট দিয়ে তারা দেশে ফিরেন। দেশে ফেরা পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিক হলেন, চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার গামারীতলা গজারিযা টিলার মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন (৪২), একই উপজেলার ডেলকাটা গ্রামের মৃত সোনা মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ হোসাইন (৫২), উত্তর গামারিতলা গ্রামের মোহাম্মদ রফিকের ছেলে মোহাম্মদ আবদুল রহিম (২৪), জাহানপুর গ্রামের
মোহাম্মদ হারুনের ছেলে মোহাম্মদ আলম (৫৮) ও একই গ্রামের মৃত আবদুল গফুরের ছেলে মোহাম্মদ দিদার (৫২)। স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়ার পর তারা নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভারত থেকে ফেরা এই পাঁচ বাংলাদেশি ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে খাগড়াছড়ির রামগড সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে প্রবেশের সময ভারতের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হন। পরে দেশটির আদালত তাদের পাঁচ দিনের কারাদ- ও পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। সাজা শেষে তাদের ত্রিপুরা রাজ্যেরআগরতলার নরসিংগড়স্থ 'স্টেট ওল্ড এজ হোমে' পাঠানো হয়। পরে আগরতলায নিযুক্ত বাংলাদেশি হাইকমিশনের সহায়তায় তাদের ঠিকানা সম্পর্কে নিশ্চিত করা হয়।পরবর্তীতে তাদেরকে দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নেয়া হয়। বৃহস্পতিবার তাদেরকে হস্তান্তরের সময় আখাউড়া সীমান্তে আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ, আখাউড়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমানা আক্তার, ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির প্রোগ্রাম ম্যানেজার তৌসিফ আহমদ কোরেশী, আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ইনচার্জ এসআই আবু বকর সিদ্দিকী, বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রতিনিধি দল এবং ভারত থেকে ফেরত আসা ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ব্র্যাক অভিবাসন কর্মসূচির পক্ষ থেকে জরুরি সহায়তা হিসেবে খাবার, কাউন্সিলিং সেবা ও যাতায়ত ভাতা বাবদ নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয। ত্রিপুরায় নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারি হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ সাংবাদিকদের বলেন, 'যাঁরা ফিরেছেন, ত্রিপুরার আদালত এক রায়ে তাদেরকে কারাদ- দেন। তারা নিজেদের বাংলাদেশী বলে দাবি করলে তাদের আগরতলার নরসিংগড়স্থ "স্টেট ওল্ড এজ হোম" এ রাখা হয়। বাংলাদেশী হাইকমিশনের সহায়তায় তাদের জাতীয়তা নিশ্চিত করা হয়েছিল। পরবর্তীতে তাদের প্রত্যাবসনের উদ্যোগ নেয়া হয়।'