বাংলাদেশ পুলিশের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) পদে পদোন্নতি পেয়েছেন পাবনার চাটমোহরের কৃতিসন্তান মো. মোজাম্মেল হক বিপিএম (বার) পিপিএম (সেবা)। গত ১০ মে মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ অধিশাখা-১ এর উপসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়েছে। মোজাম্মেল হক বর্তমানে র্যাব-৪ এর পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন। তাঁর পদোন্নতির খবরে চাটমোহরবাসী আনন্দিত হয়েছেন ও শুভকামনা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন।
পুলিশের চৌকস এই কর্মকর্তা জঙ্গি, মাদক,সন্ত্রাস নাশকতা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তিনি রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের শীর্ষ জঙ্গি নেতাসহ দুধর্ষ জঙ্গিদের গ্রেফতার করে সুনাম কুড়ান। কাজের পুরস্কার হিসেবে তাঁকে বাংলাদেশে পুলিশের সর্বোচ্চ পদক বিপিএম (সাহসিকতা ) দেওয়া হয়। মেধাবী ও জনবান্ধব এ কর্মকর্তা এর আগে একবার বিপিএম সেবা ও পিপিএম সেবা পদক পেয়েছেন। তিনি দেশের শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপার হিসেবে সরকার প্রবর্তিত ডিজিটাল অ্যাওয়ার্ড পদকও লাভ করেন।
মোজাম্মের হক ১৯৯৯ সালের ২৫ জানুয়ারি পুলিশ বিভাগে শিক্ষানবিশ সহকারি পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন। পঞ্চগড় ও রাজশাহীতে এএসপি (সার্কেল) এবং নাটোর, রাজশাহী, কুমিল্লা ও ঢাকায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে দায়িত্ব পালন করেন। জয়পুরহাট,বগুড়া, নওগাঁর পুলিশ সুপার ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার পদে কর্মরত অবস্থায় এডিশনাল ডিআইজি পদে পদোন্নতি পান ও র্যাব-১৩ (রংপুর) এর অধিনায়ক হন। র্যাবে থাকালে ১৩ মাস সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে অংশ নেন। তিনি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পেশাগত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। এ ছাড়া এশিয়া, ইউরোপ এবং আমেরিকার বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পেশাগত দক্ষতা অর্জনে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
পেশাগত জীবনের পাশাপাশি মোজাম্মেল হক এলাকার মানুষের কল্যাণে কাজ করছেন। অসহায় দরিদ্র আর রোগে আক্রান্ত মানুষের পাশে থেকে নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন। ঢাকাস্থ চাটমোহর উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। চাটমোহরবাসীর প্রিয় মানুষ হিসেবে তিনি ইতোমধ্যে স্থান করে নিয়েছেন। তাঁর উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেছেন চাটমোহরের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।