পরকীয়ার ঘটনায় নজরুল ইসলামকে বাড়িতে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। পরে মরদেহ রাস্তার পাশে ফেলে রাখা হয়। পুলিশ হত্যার রহস্য উদঘাটন তৎপরতা শুরু করেন। এঘটনার জড়িত থাকার অপরাধে তাঁর স্ত্রী লালবানু ও পরকীয়া প্রেমিক শাকিলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার তাঁদের দু'জনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এরআগে গোমস্তাপুর থানা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁর স্ত্রীসহ মোট ৬জন আটক করেন। এ ঘটনায় নিহত নজরুল ইসলাম ওরফে এসলাম কসাইয়ের ভাই সাবেক সেনা সদস্য আশরাফুল ইসলাম বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার গোমস্তাপুর থানার মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ ও মামলার সূত্রে জানা গেছে, নজরুল ইসলামের ছোট স্ত্রী লালবানু পরকীয়ার জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি তিনি জানতে পেরে তাঁর স্ত্রীকে নিষেধ করেন। এতে তাঁর স্ত্রী ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁর প্রেমিক শাকিলকে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে তাঁর মরদেহ রহনপুর- আড্ডা সড়কের নজরপুর এলাকার রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায়। সকালে স্থানীয়রা নজরুলের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ওইদিন মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। পুলিশ হত্যার রহস্য উদঘাটনে তৎপরতা শুরু করেন। ৬জনকে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য আটক করেন।
এ বিষয়ে গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার দাস জানান, এ ঘটনায় আটককৃতদের ব্যাপক জিজ্ঞেসাবাদ শেষে এ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করা হয়। জিজ্ঞেসাবাদে ওই ব্যক্তির স্ত্রী লালবানু তাঁর পরকীয়া প্রেমিক শাকিলকে নিয়ে তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা স্বীকার করেন। উল্লেখ্য,গত বুধবার উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়নের রহনপুর-আড্ডা আঞ্চলিক সড়কের নজরপুর নামক স্থানে রাস্তার পাশ থেকে ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি রহনপুর পৌর এলাকার ইসলামনগর মহল্লার মৃত রুস্তুম আলীর ছেলে। একাধিক বিয়ের কারণে বিভিন্ন স্থানে স্ত্রীদের সাথে বাস করতেন।