নীলফামারী সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়ন। আর এ ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে চলছে ভ্রাম্যমাণ জুয়ার আসর। ইউনিয়নের চাঁদের হাট বাজার,চাঁদের হাট বড় খামাত পাড়ার বিভিন্ন জঙ্গল, কলাবাগান,পুকুর পাড় বাঁশ বাগানসহ বিভিন্ন স্থানে চলে আসছে জুয়া খেলা। স্থায়ী ও অস্থায়ী ভিত্তিতে দীর্ঘদিন ওই সকল স্থানে জুয়ার আসর চলে আসলেও প্রশাসন নিরব।
সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে জুয়ার আসর। এতে যোগ দেয় এলাকার উঠতি বয়সী যুবকরা। এ জুয়ার আসরের কথা চারপাশ ছড়িয়ে পড়লে ভিন্ন গ্রামের যুবকরাও এসে যোগ দেয়। ফলে ওই ইউনিয়নে জুয়ার আসর এখন ওপেন সিক্রেট। তাস কার্ড, বোর্ড, অনলাইনসহ বিভিন্ন আসরের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকার লেনদেন হচ্ছে এসব আসরে। এ আসরে জুয়া খেলে সর্বশান্ত হচ্ছে গার্মেন্টস শ্রমিক, রিক্সা চালক, রাজমিস্ত্রি, কসাই ও এলাকার উঠতি বয়সী যুবকরা।
ওই আসরে যোগ দিয়ে অনেকেই সর্বশান্ত হয়ে বাড়ি ফিরছে। অনেকের সংসারে অশান্তি এসেছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে বাসা বাড়ির জিনিসপত্র বিক্রি করছে।
এ ব্যাপারে রামনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুজানুর রহমান সুজা বলেন,আগামীর ভবিষৎ তরুণরা এ পথে গেলে সমাজ ও পরিবার ধ্বংসের মুখে পড়বে। তাই তরুণদের সঠিক পথে ফেরাতে প্রশাসনসহ সকল জনপ্রতিনিধিদের এগিয়ে আসা দরকার। সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক রফিকুজ্জামান দুলু বলেন, এলাকার সচেতন মানুষ কে এগিয়ে আসা দরকার,কেননা চাঁদের হাট ও খামাত পাড়া এলাকায় যে জমজমাট জুয়ার আসর চলছে তাতে করে এলাকার কিশোর,যুবকরা বিপথে যাচ্ছে এবং নেশায় ঝুঁকে পড়ছে। তাই এখনই এসব জুয়াড়িদের খারাপ পথ থেকে ফিরাতে প্রশাসনের নজর দেয়া উচিত।
রামনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ওবায়দুল ইসলাম বলেন জুয়া মানুষকে সর্বশান্ত করে। পরিবারে অশান্তি ডেকে আনে। তাই জুয়া বন্ধে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।