খানসামায় আগামী ১৫ জুন উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচন উপলক্ষে বিভিন্ন হাট-বাজার, চায়ের দোকানসহ বিভিন্ন স্থানে চুলচেরা বিশ্লেষন ও বেশ সরব আলোচনা শুরু হয়েছে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের লোকজন ও আত্মীয়স্বজন নিজ নিজ প্রার্থীর পক্ষে জনসমর্থন বাড়াতে সুযোগ পেলেই প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা বাড়াতে অতীতের ভালকাজ ও ভাল ব্যবহার, ভাল গুনাগুন, মিশুকতা, ভদ্রতা, ন¤্রতা, ভাল আচরণ, কথাবার্তা, চালচলন, কথা বলা ও চলার স্টাইল, বংশ-মর্যাদা, শিক্ষা, পোশাক পরিচ্ছদ, অর্থ সম্পদ ইত্যাদি সব মিলিয়ে বিচার বিশ্লেষন করে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
গত কয়েকদিনে খানসামা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ও এলাকায় ব্যাপক স্বাক্ষাতকার, আলোচনা করে জানা গেছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সফিউল আযম চৌধুরী লায়ন নৌকা মার্কার প্রার্থীর সঙ্গে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সহিদুজ্জামান শাহের মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। উপজেলায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এমপি ব্যাপক উন্নয়ন করায় উপজেলায় আলাদা ভোট ব্যাংক তৈরী হয়েছে। অন্যদিকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সহিদুজ্জামান শাহের মরহুম পিতা আকবর আলী শাহের ব্যাপক জনপ্রিয়তার পুঁজি করে ওই পরিবারের নিদ্রিষ্ট ভোট ব্যাংক রয়েছে। তাছাড়াও উপজেলায় বিএনপিরও নিদ্রিষ্ট ভোট রয়েছে। বিএনপি জনপ্রিয় কোন প্রার্থীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করালে সেক্ষেত্রে ত্রি-মূখী লড়াই হতে পারে।
কয়েকজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সরকারের শেষ মুহুর্তে নির্বাচনী এলাকায় সংসদ সদস্যের জন্য সরকারের বিশেষ বরাদ্দ আসে। এসব বরাদ্দ দলীয়ভাবে প্রকল্প করা হয়। সরকার দলীয় কেউ নির্বাচনে জয়লাভ করলে উপজেলার উন্নয়ন আরো বেগবান হত। এক্ষেত্রে এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে ভোটারদের ভূমিকা বেশি।
কয়েকজন ভোট বিশেষজ্ঞ জানান অভিমান, রাগ-অনুরাগ, ক্ষোভ, সম্মান, মর্যাদা ও আত্মসম্মান এসব বিষয় নির্বাচনে বড় ফাক্টর হতে পারে। অনেকেই প্রার্থীদের কাছ খেকে ইতঃপূর্বে পাওয়া সম্মান ও অসম্মানকে গুরুত্ব হিসেবে দেখছেন। সরকার দলীয় অনেকেই দলীয় বরাদ্দ পাওয়া না পাওয়ার হিসেব করছেন। তারা আরো জানান, বর্তমান সরকারের মেয়াদের বাকি সময়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে ও বিভিন্ন সূযোগ পেতে আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকাকে জেতানো দরকার। তবে কিছু সরকার দলীয় নেতাকর্মী প্রকাশ্যে নৌকার পক্ষে কাজ করলেও গোপনে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন। অন্যদিকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সহিদুজ্জামান শাহ বিএনপির প্রার্থী হয়ে উপজেলা নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করায় তার উপর বিএনপির অনেক ভোটার নাখোশ হয়ে আছে। আবার আওয়ামী লীগের অনেকেই তাকে সহজে মেনে না নেয়ায় কিছু নেতাকর্মী তার উপর বিরক্ত। গণ্যমান্য ব্যাক্তিগণ জানান, যেকোন প্রার্থীকেই নেতা ও ভোটারদের মান-অভিমান ঘোচাতে ব্যাপক ঘাম ঝরাতে হবে।
এছাড়াও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য শরিফুল আলম প্রধান বিএনপির সমর্থন নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিএনপির বড় একটি অংশ তার পক্ষে কাজ করার ইচ্ছে ব্যক্ত করেছেন।