সুদের টাকার জন্য হিন্দু সম্প্রদায়ের এক ব্যবসায়ীর বসতঘরে প্রবেশ করে তার স্ত্রীকে মারধর করে শ্লীলতাহানী, বৃদ্ধা মাকে মারধর ও মেয়েকে তুলে নেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সুদি কারবারির হুমকির মুখে চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন পরিবারটি। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর গ্রামের।
শনিবার সকালে বাটাজোর গ্রামের হীরালাল দাসের ছেলে পান ব্যবসায়ী অজিত দাস অভিযোগ করে বলেন, গত পাঁচ বছর পূর্বে লক্ষণকাঠী গ্রামের সুদি কারবারি দাদন সরদারের কাছ থেকে ব্যবসার জন্য আমি চার লাখ টাকা সুদে এনেছি। পরবর্তীতে তাকে ১২ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়। এরপরেও ওই সুদি কারবারি আমার কাছে আরো পাঁচ লাখ টাকা দাবী করে আসছে।
অজিত দাস আরও জানান, সুদি কারবারি দাদনের দাবীকৃত পাঁচ লাখ টাকা উত্তোলনের জন্য গত বৃহস্পতিবার (১২ মে) বিকেলে সহযোগীদের নিয়ে তার (অজিত) বাড়িতে আসেন। এ সময় তাকে (অজিত) বাড়িতে না পেয়ে সুদের টাকার জন্য তার স্ত্রীকে তুলে নিতে ব্যর্থ হয়ে মারধর করে শ্লীলতাহানী করে। পুত্রবধূকে রক্ষায় এগিয়ে আসলে দাদন ও তার লোকজনে অজিতের ৮০ বছর বয়সের বৃদ্ধা মাকে মারধর করে। এছাড়াও তার (অজিত) মেয়েকে তুলে নেয়ার হুমকি প্রদর্শন করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা ইব্রাহিম হোসেন বলেন, অজিত দাসের বাড়িতে ডাকচিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি লোকজন নিয়ে অজিতের স্ত্রীর হাত ধরে টানা হেচরা করছে সুদি ব্যবসায়ী দাদন। এমনকি টাকা না দিলে অজিতের মেয়েকে তুলে নেওয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করলে লোকজন নিয়ে সুদি কারবারি দাদন চলে যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল মান্নান জানান, সুদের টাকার জন্য একটি পরিবারের সাথে এরকম আচরণ কাম্য নয়। ঘটনার সময় ভুক্তভোগী পরিবারটি আমাকে ফোনে বিষয়টি জানিয়েছেন। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবহিত করা হয়। তবে সুদের অভিযোগ অস্বীকার করে দাদন সরদার বলেন, অজিত দাস আমার কাছ থেকে ধার বাবদ পাঁচ লাখ টাকা নিয়েছে।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি মোঃ আফজাল হোসেন বলেন, এ বিষয়ে এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।