আশাশুনির কুঁন্দুড়িয়া গ্রামের আনন্দ অধিকারীর কন্যা প্রভাতী ঘোষের হাত থেকে বাঁচতে এবং একের পর এক মামলা ও হয়রানীর হাত থেকে রক্ষা পেতে আইন আদালতের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
লিখিত অভিযোগ ও ফিংড়ী গ্রামের মৃত পত্রধর ঘোষের ছেলে গণেশ চন্দ্র ঘোষ জানান, ২০১৬ সালে তার পুত্র প্রভাষ ঘোষের সাথে প্রভাতী ঘোষের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্ত্রী স্বামী পছন্দ না হওয়ার অজুহাতে নিজের খেয়ালখুশি মত চলাচল, ঘর সংসার না করা, শ্বশুর শ্বাশুড়ীর সাথে দুর্ব্যবহার করাসহ নানাভাবে সংসারকে দুর্বিসহ করে তোলে। দীর্ঘ অপেক্ষা করেও তার পরিবর্তন হয়নি। বাধ্য হয়ে বিজ্ঞ নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য এ্যাফিডেভিটের মাধ্যমে নোটিশ প্রেরণ করা হয়। ইউপি চেয়ারম্যান গ্রহণ করেন তবে প্রভাতী নেটিশ রিসিভ করেনি। বরং সে (প্রভাতী) মিথ্যা অভিযোগ এনে ব্র্যাক অফিসে মামলা করে। কর্তৃপক্ষ বারবার নোটিশ করলে বাদীনি সময় প্রার্থনা করলেও শেষ পর্যন্ত হাজির না হওয়ায় মামলাটি খারিজ হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে প্রভাষ ২য় বিয়ে করে। এরপর প্রভাতী যৌতুক আইনে সিআরপি ৭২/১৯ মামলা করলে বিজ্ঞ আদালতে মামলাটি খারিজ হয়ে যায়। পরে সে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা (পি-২২৬/১৯) করলে সেটিও বিজ্ঞ আদালতে খারিজ হয়ে যায়। এরপরও সে থেমে থাকেনি, পারিবারিক আদালতে ২৬/১৯ নং মামলা করে। বিজ্ঞ আদালত বাদী পক্ষের প্রতিকূলে রায় প্রদান করেন। না এরপরও সে আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পি-টি- ৬০৯/১৯ মামলা রুজু করে। মামলায় ৬ জনকে আসামি করা হয়। বিজ্ঞ আদালতে ইতোমধ্যে ৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করার মত যথেষ্ট উপাদান না থাকায় মামলা হতে অব্যহতি প্রদান করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তারা বারবার মিথ্যা মামলা ও হয়রানীর কারণে চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও বিপদাপন্ন জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে দাবী করে হয়রানীর হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসন ও আইন আদালতের কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন।