গণতান্ত্রিক আন্দোলন কখনো বিফলে যায়নি। ক্ষমতারমোহে আওয়ামী লীগ দেশব্যাপী যে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে, তাতে বিএনপি বর্তমান সরকারের অধিনে আর কোনো নির্বাচনে যাবে না। জনগনের গণতান্ত্রিক আন্দোলন সফল হবে। জনগণের কোনো আন্দোলন বিগত দিনে বিফলে যায়নি। আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত করার প্রত্যয় ব্যাক্ত করেছেন বিএনপির সহ সভাপতি সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল্লাহ-আল নোমান। দেশব্যাপী আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ১৪ মে শনিবার বিকেলে গাজীপুর শহরের রাজবাড়ি সড়কের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গাজীপুর জেলা বিএনপি ও মহানগর বিএনপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম ফজলুল হক মিলন। মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব সোহরাব উদ্দিনের পরিচালনায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন, গাজীপুর জেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ও কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহ্ রিয়াজুল হান্নান রিয়াজ, কেন্দ্রীয় সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডাঃ মাজহারুল আলম, মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক ভিপি জয়নাল আবেদীন তালুকদার, জেলা বিএনপি নেতা সাখাওয়াত হোসেন সবুজ প্রমূখ।
সমাবেশে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা কালিয়াকৈর পৌর মেয়র মজিবুর রহমান, বিএনপি নেতা আফজাল হোসেন কায়সার, ড. সহিদুজ্জামান, আহমেদ আলী রুশদী, হুমায়ূন কবীর মাষ্টার, কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ খন্দকার আজিজুর রহমান পেরা প্রমূখ। এ ছাড়া জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দল, মহিলা দল, ওলামা দল সহ অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি আব্দুল্লাহ আল নোমান আরো বলেন, আমরা জনগণের চোখে আন্দোলনের আগুন দেখতে পাচ্ছি। একমাত্র সরকার পতনের মাধ্যমেই এ আগুন নিভতে পারে।আমরা জয়ের মুখোমুখি আছি। দেশনেত্রী বেগত খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে মিছিল-হরতাল-প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে চলমান আন্দোলন এগিয়ে যাবে। সর্বোচ্চ পর্যায়ের আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে নতুন পরিস্থিতিতে নির্বাচন হবে। আওয়ামী লীগ বলবে একটা কাজ করবে আরেকটা। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বিরোধী মতের কোন তোয়াক্কা করেনি। যারা জিয়াউর রহমানকে অস্বীকার করে তারা স্বাধীণতাকে অস্বীকার করে। দূর্নীতিতে আজ দেশ ছেয়ে গেছে। দেশব্যাপী লূটপাট করে সবটাকা বিদেশে পাচার করেছে। গুটা বাংলাদেশকে আজ দুর্নীতির আখড়ায় পরিনত করেছে। প্রধান মন্ত্রীর আত্মীয়দুই হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে জনগনের আজ নাভিশ^াস উঠেছে। তাই দেশের স্বার্থে, জনগনের স্বার্থে সকলকে এই সরকারে বিরুদ্ধে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে হবে। সবাইকে আজ রাস্তায় নেমে আসতে হবে। জনগনের বিজয় খূব কাছাকাছি। এই সরকারের অধিনে কোন নির্বাচন জনগন মেনে নিবে না। তাই এই সরকারকে হটিয়ে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আন্দোলনের সফলতা আসবেই।
তিনি আরো বলেণ, করোনা কালিন টিকা দেয়ার নামে আওয়ামী লীগ ২৩ হাজার কোটি টাকার দূর্নীতি করেছে। এয়ারপোর্ট-জয়দেবপুর সড়কে প্রতি কিলোমিটার রাস্তায় ২ শত ১৩ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। দেশেল সকল সেক্টরে আজ দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে।