কৃষির পাশাপাশি পুকুরপাড়ে হাইব্রিড লাউ চাষ করে এলাকাবাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে কহুলি গ্রামের আবদুল মতিন। তিনি এখন বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করে এলাকায় আদর্শ সবজিচাষি হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছেন।
সরেজমিনে উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের কহুলি গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, ৩৩ শতক জমির পুকুরপাড়ে হাইব্রিড (লালতীর) জাতের শত শত লাউ ঝুলছে। তার পুকুরপাড় এখন সবুজের সমারোহ। সফল লাউচাষি আবদুল মতিন জানান, তার লাউ চাষের সাফল্য গাথা। তিনি দীর্ঘদিন থেকে কৃষি জমি চাষ করার পাশাপাশি নিজ জমির পুকুরপাড়ে আধুনিক পদ্ধতিতে মাচা করে লাউ চাষ করেছেন। মার্চ মাসের শুরুতে লাউ বীজ লাগিয়ে মে মাসের মাঝামাঝি লাউ ধরতে শুরু করে এবং কাটা শুরু হয়ে চলবে প্রায় জুলাই মাস পর্যন্ত। মৌসুমে তিনি গড়ে ২০০ থেকে ২৫০ লাউ বিক্রি করেছেন। বর্তমানে সপ্তাহে গড়ে ৩৫-৪০টি লাউ বিক্রয় করছেন তিনি। প্রতিটি লাউ ২০ থেকে ২৫ টাকা করে বাজারে বিক্রি করছেন।
তিনি জানান, আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগীতায় এই প্রদর্শনী করা হয়েছে। তিনি এ পর্যন্ত ৬০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেছেন এবং আরো ৫০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি হবে বলে আশা করছেন। তিনি লাউ গাছে রাসায়নিক কীটনাশক স্প্রে করেন না। প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে পোকা মাকড় দমন করেন। তিনি আরো জানান, কৃষি জমির পাশাপাশি সবজি চাষ তার এখন নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বেগুন, লেবু, আলু, পাতা কপি, ফুল কপি, ও পেঁপে চাষ করে থাকেন। বর্তমানে পুকুরপাড়ে লাউ, বেগুন, পেঁপে, লেবু আছে। তার পুকুরপাড়ে লাউ চাষে সাফল্য দেখে এলাকার কৃষকরা প্রতিনিয়ত তার কাছে পরামর্শ নিতে আসেন। সবজি চাষে সব সময় তার পাশে থাকেন স্ত্রী।
নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. আদনান বাবু জানান, এই উপজেলায় বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষ করে থাকেন কৃষকরা। লাউ চাষ করে আবদুল মতিন সফল হওয়ায় আমরা বেশ আনন্দিত। এ বছর নন্দীগ্রাম উপজেলায় ৩৩০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ করেছেন চাষিরা। দামও ভালো পাচ্ছেন। সবজি চাষে কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।