বগুড়ার আদমদীঘিতে হত্যা ও চুরি মামলায় আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে নিজের নাম ঠিকানা পরিবর্তন করে দীর্ঘ তের বছর আত্মগোপনে থেকেও রক্ষা পেলেন না ভোলা মিয়া (৪৭)। গত শনিবার রাতে নওগাঁ সদরের ছোট যমুনা নদীর হরিপুর বেড়ি বাঁধ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে আদমদীঘি থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জালাল উদ্দীন জানান, আদমদীঘি থানায় ২০০৩ সালে আদমদীঘি উপজেলা উথরাইল গ্রামের অকিম উদ্দিনের ছেলে ভোলা মিয়ার বিরুদ্ধে একটি হত্যা ও চুরি মামলা হয়। এ মামলায় সে গ্রেপ্তার হয়ে জেল হাজতে থাকে। ২০০৮ সালে ভোলা আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে পলাতক হয়। তার বিরুদ্ধে আদালত কর্তৃক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। কিন্তু তিনি নিজের নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে মাসুদ নাম নিয়ে তার স্ত্রী সন্তানসহ নওগাঁ সদরের বক্তারপুর ইউনিয়নের ছোট যমুনা নদীর হরিপুর বেড়ি বাঁধে টিনসেড ঘর নির্মাণ করে সেখানে দীর্ঘ তের বছর যাবত আত্মগোপনে বসবাস করছিলেন। ওসি আরও বলেন, মামলা থেকে বাঁচতে দীর্ঘ তের বছর যাবত তার নাম ও ঠিকানা পরির্বতন করে আত্মগোপনে থেকেও রক্ষা পেলেন না পলাতক আসামি মাসুদ ওরফে ভোলা মিয়া। গোপন সংবাদের ভিক্তিতে শনিবার রাতে আদমদীঘি থানার উপপরিদর্শক আবু হাসান ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে তাকে ওই স্থান থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত ভোলা মিয়াকে আজ রোববার সকালে বগুড়া আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।