গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের সীচা গ্রামে নিজ নামীয় ক্রয়কৃত জমি দখল করে ধানের চারা রোপন করেছে প্রতিপক্ষরা। এনিয়ে সংঘর্ষে ২ জন আহত হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে। ঘটনাটি ঘটেছে, গত শনিবার বিকালে।
জানা গেছে, সীচা গ্রামের বিমল চন্দ্র মোদকের ছেলে সুজন কুমার মোদক দীর্ঘ ৪০ বছর আগে ১৮ শতক জমি ক্রয়সূত্রে ভোগ দখল করে আসছে। বর্তমান রেকর্ড তার নামে সৃজন হয়েছে। এরই একপর্যায় জমির ভূয়া ওয়ারিশ সেজে ওই গ্রামের বলাই চন্দ্র মোদক, সুবল চন্দ্র, ছিদাম চন্দ্র মোদক প্রতিবেশী হাফিজুর রহমানের ছেলে ফরিদুল হককে কবলামূলে দলিল করে দেয়ার চেষ্টা করে। বিষয়টি জানতে পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সুজন কুমার মোদক উপজেলার সাব-রেজিষ্টারকে একটি লেখিত অভিযোগ দেয়। অভিযোগের ভিত্তিতে দলিলটি সম্পাদন বন্ধ করে দেন। এ নিয়ে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চন্ডিপুর ইউনিয়ন গ্রাম আদালতে শালিস সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিন্ধান্ত মোতাবেক সুজন কুমার মোদক ওই সম্পত্তি বৈধ মালিক হিসেবে বিবেচিত হয়। সে আলোকে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফুল মিয়া একটি প্রতিবেদন প্রদান করে। এরই একপর্যায় ফরিদুল হক শালিস সভার সিন্ধান্ত অমান্য করে গত ১১ ফেব্রুয়ারি সুজন কুমার মোদকের চারা রোপন করা জমিতে রাসায়নিক সার ছিটিয়ে জমি জবর দখলের চেষ্টা করে। এরপর গত গত ১মে রাতের আঁধারে সুজন চন্দ্রের চারা রোপন করা বোরোধান কেটে নিয়ে যায়, ফরিদুলরা। বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ করলে ২মে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধান উদ্ধার এবং ২ জনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা জামিনে এসে গত শনিবার ওই জমি হালচাষ করে জবর দখলে নিয়ে বর্ষালি ধানের চারা রোপন করে। জমির মালিকরা বাধা দিলে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে সুমন চন্দ্র ও বিমল চন্দ্র আহত হয়। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সুজন কুমার মোদক জানান, ইউপি সদস্য ফুল মিয়া সরকারের প্রভাবে ফরিদুল হক তার জমির ধান কেটে নিয়ে গেছে এবং ফের হালচাল করে ধানের চারা রোপন করেছে। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় আমার প্রতিবাদ করে কোন ফল পাচ্ছিনা।
ইউপি সদস্য ফুল মিয়া সরকার জানান, জমির ধান কেটে নিয়ে যাওয়া ও চারা রোপনের বিষয়টি তিনি জানেন। বৈধ কাগজপত্রাদি সংগ্রহ পূর্ব পুনরায় শালিস বসার সিদ্ধান্ত রয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান ফুল মিয়া জানান, গ্রাম্য আদালতের শালিস সভার সিন্ধান্ত মোতাবেক জমির প্রকৃতি মালিক সুজন কুমার মোদক। এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন তাদেরকে দেয়া হয়েছে।
ওসি সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম জানান, এনিয়ে থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।