রাজশাহীর বাঘায় পদ্মার চরে মাঠ প্রহরী সেন্টু আলীর সেই লাশ দাফন করা হয়েছে। লাশের ময়না তদন্ত শেষে সুলতানপুর গোরস্থানে শনিবার সন্ধ্যায় লাশ দাফন সম্পন্ন করা হয়। এই ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে তার মেয়ে তাসলিমা বেগম বাদি হয়ে রাতে বাঘা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে পুলিশ জানান, উপজেলার গড়গড়ি ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের মৃত আজের উদ্দিন চৌকিদারের ছেলে সেন্টু আলী (৫০) বুধবার বিকেলে লালপুরের নওপাড়া বাজারে যায়। সেই বাজারের পল্লবের মুদি দোকানে তার বাইসাইকেল রেখে বাজারের মধ্যে যায়। তারপর আর সে ফিরে আসেনি। পরে পল্লব দোকান বন্ধ করে রাতে বাইসাইকেলটি সেন্টুর জামাই শাওন আলী সুরুজের বাড়িতে পৌছে দেন।
তারপর থেকে সে নিখোঁজ হয়। তাকে বিভিন্নস্থানে খোঁজ করে পায়নি। নিখোঁজের তিনদিন পর শনিবার সকালে সুলতানপুর পদ্মা নদীর মধ্যে আখক্রয় কেন্দ্রের পাশে খামার চৌহদি চরে আবদুল খালেকের পেয়ারা বাগানের দুই শ্রমিক আছান আলী ও আবদুল্লাহ কাজে গিয়ে লাশ পড়ে থাকতে দেখে। এ সময় লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়দের মাধ্যমে পুলিশকে অবগত করা হয়। পরে বাঘা থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার ডান পা শেয়ালে কিছুটা ক্ষত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে।
বাঘা থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে। তদন্ত চলছে। আসামীদের চিহিৃত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।