জামালপুরের বকশীগঞ্জে সন্ত্রাসীদের ভয়ে নিজ বাড়িঘর ছেড়ে এক সপ্তাহ যাবৎ পালিয়ে বেড়াচ্ছে উপজেলার রামরামপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হকের পরিবার। সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হকের পরিবারের লোকজনকে হত্যার হুমকি দিয়েছে।
এ বিষয়ে বকশীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হকের বড় ছেলে মিজানুর রহমান। বকশীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার বগারচর ইউনিয়নের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক পরিবারের সাথে শামিউল হক গং এর পৈত্রিক সম্মপত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। ওই বিরোধের জের হিসেবে শামিউল হক পরিবারের লোকজন একাধিকবার বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক পরিবারের লোকজনের উপর হামলা করে। শামিউল হক পরিবারের লোকজনের দ্বারা নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়ে আসছে বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হকের পরিবার। ৫ মে সর্বশেষ হামলার শিকার হন। প্রতিপক্ষ শামিউল হকের লোকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হকের সন্তান ও স্ত্রীকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেন। এরপর থেকেই প্রতিপক্ষ শামিউল হকের লোকজনের ভয়ে নিজ বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হকের পরিবার। এক সপ্তাহ যাবত বাড়িতে যেতে পারছেনা বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হকের ছেলে মিজানুর রহমান ও তার স্বজনরা। কোন উপায় না পেয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক পরিবারে বড় ছেলে মিজানুর রহমান বকশীগঞ্জ থানায় ১১ জনের বিরুদ্ধে লিখিতি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তরা হলেন, রামরামপুর গ্রামের শামিউল হক, শাহজাদা, সেকান্দর আলী, লালকু মিয়া, মোতালেব হোসেন, পলাশ মিয়া, সুজন মিয়া ও লিপন মিয়া।
এব্যাপারে বকশীগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সন্তাান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির জানান, বকশীগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তাান কমান্ড বিষয়টি সরেজমিনে পরিদর্শণ করেছে। ঘটনার প্রমানও রয়েছে। প্রশাসনিক সহাযতা না পেলে যে কোন সময় বড়ধরণের ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হকের পরিবার। মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার আলহাজ মফিজ উদ্দিন জানান, বিষয়টি খুবই ন্যাক্কার জনক। আমি তার তীব্র প্রতিবাদ ও অপরাধির শাস্তি দাবি করছি। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের নিরাপত্তার বিষয়ে প্রশাসনের সহায়তা চাই। এ ব্যাপারে বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুন মুন জাহান লিজা জানান, বিষয়টি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ জানাননি। তার পরেও খোজঁ খবর নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ তরিকুল ইসলাম জানান, ঘটনা সত্য হলে লিখিত অভিযোগে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।