ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে চলতি বোরো মৌসুমে ৩৭ হাজার ৪১১ মেট্রিক টন চাল ও ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। প্রথমদিন ১৬ মে বিকাল ৫টা পর্যন্ত প্রায় ৬শত টন চাউল সঙগ্রহ করা হয়েছে বলে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা চিন্তামণি তালুকদার জানান।
সোমবার (১৬ মে) সকালে আশুগঞ্জ খাদ্যগুদামে ধান-চাল সংগ্রহের উদ্বোধন করেন আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হানিফ মুন্সি। অনুষ্ঠানে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরবিন্দ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা চিন্তামনি তালুকদার, খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মঈনুল খায়ের, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা চাতালকল অটো মেজর এ- হাসকিং মিল মালিক সমিতির সভাপতি বাবুল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম স্বপন ভূইয়া, উপজেলা চাতালকল অটো মেজর এ- হাসকিং মিল মালিক সমিতির হাজী মো. জোবায়ের হায়দার বুলু, সাধরাণ সম্পাদক হাজী হেলাল শিকদার, আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মোজাম্মেল হকসহ চাতাল মালিকগণ।
খাদ্যগুদাম সূত্রে জানা যায়, এবার আশুগঞ্জ থেকে চলতি বোরো মৌসুমে সিদ্ধ বোরো চাল ৪০ টাকা কেজি দরে ৩৬ হাজার ৫৫৭ মেট্রিক টন চাল ও আশুগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি বোরে ধান ২৭ টাকা কেজি দরে ৫৭৭ মেট্রিক টন সংগ্রহ করবে সরকার।
আশুগঞ্জ খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মঈনুল খায়ের বলেন, ৪০ টাকা কেজি দরে ৩৬ হাজার ৫৫৭ মেট্রিক টন চাল ও আশুগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ২৭ টাকা কেজি দরে ৫৭৭ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হবে। ৩১ আগস্টের মধ্যে চাল ও ধান সংগ্রহ করতে হবে। ইতোমধ্যে ৭টি মিলের সাথে চুক্তি করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে চাল নেওয়া শুরু হয়েছে। বাকিদের সাথে চুক্তি করে তাদের কাছ থেকেও চাল সংগ্রহ করা হবে।
এ বিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. জাকারিয়া মুস্তফা বলেন, মিল মালিকদের সাথে চুক্তি আজ বিকালের মধ্যেই শেষ হবে। চুক্তি হওয়ার সাথে সাথেই চাল দিতে পারবে মিল মালিকরা। চাল সংগ্রহ ৭ তারিখ থেকে হওয়ার কথা থাকলেও চাল প্রস্তুত না থাকার কারণে ১৬ মে থেকে চাল সংগ্রহ শুরু হয়েছে।