রাজশাহীতে বিশ^ টিকাদান সপ্তাহ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এ্যাডভোকেসি সভায় বক্তাগণ বলেছেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুস্থ্য রাখতে ও শিশু মৃত্যু হার হ্রাস করতে নিয়মিত টিকাদান অব্যাহত রাখার কোন বিকল্প নাই। তাই স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থায় সকল ঝুঁকি কাটিয়ে শিশুদেরকে টিকার আওতায় আনতে হবে। এ কর্মসূচির আওতায় ০-১৮ মাস বয়সী সকল শিশু এবং ১৫-৪৯ বছর বয়সী সকল মহিলাদের টিডি টিকা প্রদান করা হবে।
বক্তাগণ বলেন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের গতিশীল নেতৃত্বে স্বাস্থ্যসেবা, পরিচ্ছন্নতা, সবুজ রাজশাহী মহানগরী দেশে অনন্য সিটিতে পরিণত হয়েছে। পরপর দশবার শিশুদের স্বাস্থ্য সেবায় দেশ সেরা নগরীর এক অন্যন্য উদাহরণ রাজশাহী। এত অর্জনের মধ্যেও করোনা পরিস্থিতিতে গত দুই বছরে শিশুদের টিকাদান কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ হয়। এ কারণে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের অর্জিত সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থায় থাকা সকল ঝুঁকি কাটিয়ে শিশুদেরকে টিকার আওতায় আনতে হবে। আর এ লক্ষ্যে স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত রাসিকের স্বাস্থ্যকর্মীদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) আয়োজনে সোমবার (১৬ মে) সকালে নগরভবনের সরিৎ দত্ত গুপ্ত সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন রাসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম। সভায় বিশ^ টিকাদান সপ্তাহের কর্মসূচির সার্বিক তথ্য উপস্থাপন করেন বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার এসআইএমও ডা. নুরুল ইসলাম। সভায় বক্তব্য দেন বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার বিভাগীয় সমন্বয়কারী ডা. মো. কামরুজ্জামান, পরিবার পরিকল্পনা উপ-পরিচালক ডা. কস্তুরি আমিন কুইন।
সভায় বক্তারা জানান, বিশ^ টিকাদান সপ্তাহের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে- এটি সব বয়সের মানুষকে রোগ থেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য টিকা ব্যবহারের বিষয়টি তুলে ধরতে বৈশি^ক অংশীদারদের একত্র করে। তাই এ বছরের প্রতিপাদ্য হলো ‘খড়হম ষরভব ভড়ৎ অষষ’ যেখানে ‘সকলের জন্য দীর্ঘ জীবন’ জীবদ্দশায় টিকা দেওয়ার গুরুত্বকে প্রতিফলিত করে।
উল্লেখ্য ২৪-৩০ এপ্রিল বিশ^ টিকাদান সপ্তাহ পালন করা হলেও বাংলাদেশে কোভিড ও রমজানের কারণে এ টিকাদান সপ্তাহ ৩১ মে’র মধ্যে পালনে সরকারি নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
রাসিকের ফুড এ- স্যানিটেশন অফিসার শেখ আরিফুল হকের সঞ্চালনায় সভায় সিভিল সার্জন রাজশাহী কার্যালয়ের ডা. আবদুর রাকিব, নারী মৈত্রীর মেডিকেল অফিসার ডা. ওয়ালিদ চৌধুরী, রাসিকের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম বনি, ডা. উম্মুল খায়ের ফাতিমা ও সকল টিম লিডার অংশগ্রহণ করেন।