লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় পারিবারিক বিরোধের জের ধরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় অনার্স পরীক্ষার্থী গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আরও ৬ জন আহত হয়। থানায় মামলা দায়ের হলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
গুরুতর আহত অনার্স পরীক্ষার্থী আহত অবস্থায় সোমবার (১৬ মে) শুরু হওয়া অনার্স পরীক্ষায় শ্রুতি লেখকের মাধ্যমে অনার্স পরীক্ষা দিচ্ছেন।
এ ঘটনায় আইয়ুব আলী ৯জনকে আসামি করে আদিতমারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে থানায় মামলা দেয়ায় ওই পরিবারকে মামলা তুলে নেয়াসহ সন্ত্রাসীরা তাদের জীবননাশের হুমকি দিয়ে আসছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তারা। এমতাবস্থায় জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে পরিবারটি।
মামলার এজাহার সুত্রে জানাযায়, লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের বারঘরিয়া গ্রামের আইয়ুব আলীর সঙ্গে একই এলাকার কামরুজ্জামানের পরিবারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত ৬ মে শুক্রবার সকালে শহিদার রহমানের পুত্র কামরুজ্জামান ১০/১২ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী লাঠিসোটা, ছোঁড়া লোহার রড নিয়ে আইয়ুব আলীর বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তারা ব্যাপক ভাঙচুর স্বর্ণলংকার ও নগদ অর্থ লুটপাট করে নিয়ে যায়। এ সময় পরিবারের লোকজন এগিয়ে এলে আইয়ুব আলীর উপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করে এবং কামরুজ্জামান ধারালো অস্ত্র দিয়ে অনার্স পরীক্ষার্থী রোজিনার উপর আক্রমণ চালিয়ে তার ডান হাতের দুইটি আঙুল কেটে ফেলে। এ ঘটনায় অনার্স পরীক্ষার্থীসহ ওই পরিবারের ৭জন আহত হলে তাদেরকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে রোজিনার অবস্থা অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
অনার্স পরীক্ষার্থী রোজিনা সাংবাদিকদের জানায়, মামলার অন্যতম আসামি কামরুজ্জামান একজন সরকারি চাকরিজীবী ( ইনকাম ট্যাক্স ইন্সপেক্টর) গাজীপুরে চাকুরী করছেন। তিনি একজন প্রভাবশালী ও অর্থবান হওয়ায় প্রায় সময় তাদের পরিবারের ওপর বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে আসছে। ঘটনার দিন তিনি ঢাকা থেকে বিমানে করে বাড়িতে এসে সন্ত্রাসী বাহিনী ভাড়া করে নিয়ে আমাদের উপর হামলা ও লুটপাট চালায়।
রোজিনা আরও বলেন, কামরুজ্জামানের নাকি সারাদেশে লোক আছে তাই কেউ তার কিছু করতে পারবে না বলে হুমকি দেয়। আমরা গরীব মানুষ, তার এমন হুমকিতে, বর্তমানে আমরা জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তদন্ত সাপেক্ষে আমরা ঘটনার ন্যায়বিচার দাবী করছি।
এ বিষয়ে আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক (ওসি তদন্ত) জানান, তদন্ত চলমান আছে। তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।