নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোখছেদুল মেমিনসহ আটজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা নং- ২৮/২২। এ মামলায় অন্য অভিযুক্তরা হলেন মুবিন সরকার, দেলোয়ার খান, আসাদুল ইসলাম আসাদ, সৈয়দপুর পৌর কাউন্সিলর জোবায়দুর রহমান শাহীন, অনিবন্ধিত অনলাইন টিভি চ্যানেল এপিএন’র জাহাঙ্গীর হোসেন, যুবলীগ নেতা দিলনেওয়াজ খান ও রাফসান চৌধুরী।
সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মোত্তালেব হোসেন হক বাদী হয়ে বিজ্ঞ সাইবার ট্রাইব্যুনাল নীলফামারী অঞ্চল, রংপুরে এ মামলা দায়ের করেন। আদালতে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশনা দিয়েছেন সৈয়দপুর থানা কর্তৃপক্ষকে। এর আগে দায়েরকৃত মামলাটিকে ঘিরে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
শুনানি শেষে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য আদালত সৈয়দপুর থানাকে নির্দেশনা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার মামলাটি দায়ের করা হয় আদালতে।
মামলার বাদী মোতালেব হোসেন হক বলেন, সৈয়দপুর পৌর এলাকায় বর্তমান পৌর পরিষদ রেলওয়ের ব্যাকবোন ড্রেনের ওপর প্রয়াত মেয়র আখতার হোসেন বাদল পৌর সবজি বাজার নামে পাকা অবকাঠামো নির্মাণ করে। এ ঘটনার বিরুদ্ধে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত সংবাদের একদিন পরে ৮ এপ্রিল রাতে পৌর সবজি বাজার নির্মাণের ঠিকাদার আসাদুল ইসলাম আসাদের নেতৃত্বে আমাকে শহরের পাঁচমাথায় বেদম মারপিট করা হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন আমাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় ১০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করে। আমি হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার পর কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে আসি। ঘটনার প্রতিবাদে ৯ এপ্রিল উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মহসিনুল হক মহসিনের নেতৃত্বে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভার প্রতিবাদে ১০ এপ্রিল উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিনের নের্তত্বে শহরে মিছিল ও সভা করে। এ সভায় তিনি মাইকে আমাকে সমাজে হেয় করে বক্তব্য দেন। তিনি তার বক্তব্যে আমাকে পা দিয়ে মারার নির্দেশনা দেন তার অনুসারীদের। এরপর ১১ এপ্রিল আমার ছবিতে গলায় জুতার মালা পড়িয়ে আমাকে চাঁদাবাজ আখ্যায়িত করে শহরের বিভিন্ন স্থানে বিলবোর্ড টাঙ্গানো হয়। এমন অনৈতিক কাজে আমাকে সমাজে হেয় করার কারণে আমি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আদালতে মামলা দায়ের করি।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোখছেদুল মমিন বলেন,আমি কোন সাংবাদিককে হেয় করিনি। আর মামলার বিষয়ে কোন কিছু জানিও না।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আবুল হাসনাত খান বলেন, মামলাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।