ইদানিং পাবনার সুজানগরে বখাটেদের উপদ্রব ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বখাটেরা প্রায়ই এলাকার স্কুল-কলেজগামী ছাত্রীদের নানাভাবে উত্ত্যক্ত করার পাশাপাশি শারিরীকভাবেও নির্যাতন এবং লাঞ্চিত করছে। সর্বশেষ গত বুধবার রাবেয়া বসরী (১৫) নামে এক স্কুল ছাত্রী স্থানীয় এক বখাটের হাতে আহত হয়েছে। রাবেয়া উপজেলার কাচুরী গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ইউপি সদস্য আনসার আলীর মেয়ে এবং সাতবাড়ীয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। প্রত্যাক্ষ দর্শীরা জানায়, ওইদিন বিকাল ৪টার দিকে রাবেয়া স্কুল শেষে বাড়ি ফিরছিল। পথে সাতবাড়ীয়া ডিগ্রি কলেজ গেটের সামনে থেকে পার্শ্ববর্তী ফকিৎপুর গ্রামের বাসিন্দা ফারুক হোসেন মোল্লা ও সাতবাড়ীয়া ইউপি সদস্য শাপলা খাতুনের ছেলে ফাহাদ হোসেন রাবেয়াকে উত্ত্যক্ত করে। এ সময় রাবেয়া প্রতিবাদ করলে ফাহাদ তাকে প্রকাশ্যে রাস্তায় উপর্যুপরি মারপির করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। রাবেয়ার পারিবারিক সূত্র জানায়, ওই ফাহাদ ইতিপূর্বেও একাধিকবার রাবেয়াকে উত্ত্যক্ত করেছে। এ ব্যাপারে সুজানগর থানায় একটি মামলা হয়েছে। পুলিশ আসামি ফাহাদকে গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করছেন বলে থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল হান্নান জানান। এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে এবং বিচারের দাবিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতবাড়ীয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রীদের উদ্যোগে এক মানববন্ধন সাতবাড়ীয়া ডিগ্রি কলেজের গেটে অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে উপস্থিত শিক্ষক এবং ছাত্রীরা অবিলম্বে বখাটে ফাহাদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিব জানান। এ সময় স্থানীয় এমপি আহমেদ ফিরোজ কবির তাদের দাবির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন এবং অপরাধী ফাহাদকে আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন।