বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার গঠন করে ভোটের মাধ্যমে পার্লামেন্ট গঠন করতে হবে। দেশ ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে। শ্রীলংকার মত অবস্থায় আমরা যাচ্ছি। এখানে কথা বলার স্বাধীনতা নাই কথা বললে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়। আমাদের ভোটের অধিকার হরণ করে নিয়েছে। কেন্দ্র যাওয়ার আগেই ভোট হয়ে যায়। খালেদা জিয়াকে পদ্মা নদীতে ফেলে হত্যার হুমকি দিয়ে অশালীন ও অরাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েছেন শেখ হাসিনা।
১৯ মে সৈয়দপুর জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির কর্মী সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন ও বিচার বিভাগকে এ সরকার দলীয় করণ করেছে। বিভিন্ন আইন দিয়ে বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের বিভিন্ন মামলায় জড়ানো হচ্ছে। দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। ফলে টাকার মান কমে যাচ্ছে। এ সরকার বাংলাদেশকে লুটের জায়গায় পরিনত করেছে। আওয়ামী লীগ এর সক্রীয় সহযোগীতায় দেশের অর্থ লুট করা হচ্ছে। বিদ্যুতের দাম শতকরা ৫৮ ভাগ বাড়ানোর কথা বলেছেন। কিন্তু এর কোনোকিছু করা না হলেও এর অর্থ আওয়ামী লীগেরা লুটে নিচ্ছে। তিন তিনটি বছর ধরে মিথ্যা মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দী করে রেখেছেন। আমরা ন্যায় কথা বললে আমাদের উপর মিথ্যা মামলা চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে।
কর্মী সভায় সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আবদুল গফুর সরকারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর বিএনপির ইশরাক আহমেদ, রংপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, রংপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আনিছুর রহমান, বিএনপি রংপুর বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক, সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহীন আক্তার, বিএনপি নেতা আবদুল খালেক, আনোয়ার হোসেন প্রামানিক প্রমুখ।
সভার শুরুতে বিএনপির পক্ষ থেকে মহাসচিব রংপুর বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বিপুর মৃত্যুতে তার পরিবারকে অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন।