কিশোরগঞ্জ সদরসহ তের উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে প্রচ- ঝড়-বৃষ্টি। এতে ঘরবাড়িসহ গাছপালার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) দিনগত রাত সাড়ে ১০ টার পর থেকে রাত দেড়টা পর্যন্ত প্রচ- ঝড় ও বৃষ্টি হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ-ভৈরব সড়কের কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বড়পুল থেকে রশিদাবাদ ব্রিজ পর্যন্ত ঝড়ে গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে থাকায় যানচলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। দীর্ঘ পাঁচ কিলোমিটার জুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়। রাত ১ টার পর সড়ক চলাচল স্বাভাবিক হয়। এনিয়ে যাত্রীরা পড়ে চরম দুর্ভোগে।
অপরদিকে নীলগঞ্জ-তাড়াইল সড়কের কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মহিনন্দ থেকে নীলগঞ্জ পর্যন্ত ঝড়ে রাস্তার পাশে ও অনেক বাড়িঘরের গাছপালা পড়ে থাকায় যানচলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। সকাল সাড়ে নয়টায় এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত এ সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে স্থানীয়ভাবে কিছু গাছপালা কেটে দেওয়ায় সাধারণ পথচারীরা চলাচল করছে। ভারী কোনো যানবাহন চলাচল হচ্ছে না।
পথচারীরা ও যাত্রীরা জানান, ঝড়-বৃষ্টির কারণে রাতে যাত্রীদের খুব কষ্ট করতে হয়েছে। বেশি টাকা ভাড়া দিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়েছে। এখনো সড়কে যান চলাচল না করায় দুর্ভোগে রয়েছেন তারা। অটোগুলিতে সার্চ না দেওয়ায় ভাড়াও দিগুন হয়েছে।
অপর দিকে ঝড়-বৃষ্টির কারণে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। অনেক জায়গা বিদ্যুৎহীন অবস্থায় আছে। ঝড়ে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা বিস্তারিত জানা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে খবর নিয়ে জানা গেছে, ঘরবাড়ি, গাছপালার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।