দিনাজপুরের ফুলবাড়ী বাজারে নিত্যপণ্যের দাম এখনো চড়া। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে কিছু সবজির দাম কমলেও মুরগি ও গরুর মাংসের দাম বেড়েছে। বোতলজাত সয়াবিন তেল সরকারের নতুন দর অনুযায়ী বিক্রি হচ্ছে। তবে খোলা সয়াবিন তেল পওয়া যাচ্ছে খবুই কম।
শনিবার ফুলবাড়ী পৌর শহরের পৌর বাজার, রেলঘুমটি বাজার, গড়ইসলামপুর বৌবাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে বোতলজাত ১ লিটার সয়াবিন তেল ১৯৮ টাকা, ৩ লিটার ৫৭৬ টাকা এবং ৫ লিটার তেল ৯৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে খোলা সয়াবিন তেল মিলছে না।
দোকানীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ আগে বয়লার মুরগি ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও তা এখন বেড়ে হয়েছে১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা, ২৭০ টাকার পাকিস্তানী মুরগি ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়ে ২৮০ থেকে ২৮৫ টাকা এবং ২৫০ টাকার পাকিস্তানী লেয়ার ২৭০ থেকে ২৭৫ টাকা এবং ৩৪৫ টাকার দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৭৫ থেকে ৩৮০ টাকায়। ৭৫০ টাকা কেজির খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৮১০ টাকা এবং ৬০০ টাকার গরুর মাংস ৬৩০ থেকে ৬৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
পৌর বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী রনি প্রসাদ ও আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রায় প্রতিদিনই মুরগির দাম ওঠানামা করে থাকে। তবে তুলনামূলকভাবে মুরগির দাম খুব একটা বাড়েনি। সেই সঙ্গে মুরগির আমদানিও বেড়েছে। দম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বাড়লেও আবার কোনো দিন কমেও যায়।
পৌর এলাকার সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, করলা ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি দরে। কাঁচা মরিচ ৭০ টাকা, লেবু হালি ১০ টাকা কমে ১০ থেকে ১৫ টাকা, লাউ ৩০ টাকা, পটোল ৪০ টাকা, ঝিঙে ৩০ টাকা, চিচিঙা ৩০ টাকা ও বরবটি ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। চাল কুমড়া আকারভেদে ১৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে টমেটো, গাজর, ঢ্যঁড়স ও বেগুনের দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে।
পৌর বাজারের সবজি বিক্রেতা সুব্রত সাহা বলেন, বাজারে সবজির আমদানি বেড়েছে। অল্প কয়েক দিনের মধ্যে সবজির আমদানি আরো বাড়বে। এ কারণে কিছু কিছু সবজির দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা কমেছে। তবে বেড়েছে পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম। ২৫ থেকে ২৭ টাকা কেজির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজির আদা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা এবং ৬০ টাকা কেজির রসুন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে। বাজারে আলু আগের মতোই ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
পৌর শহরের কাঁটাবাড়ী গ্রামের সাবেক ব্যাংক কর্মচারি আকবর আলী বলেন, নিত্যপণ্যের দাম দিন দিন যেভাবে বেড়েই চলেছে, তাতে করে খরচের তালিকা ছোট করতে হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্থানীয় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সার্বক্ষণিকভাবে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। একই সঙ্গে বাজার তদারকিও করা হচ্ছে।