দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে সয়াবিন তেলের বোতলের গায়ে লেখা নির্ধারিত দাম মুছে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিক্রেতা বিক্রিত সয়াবিন তেলের বিক্রির কোন রসিদ (মেমো) দিচ্ছেন না।
উপজেলার মাদিলাহাট, আটপুকুর ও বারাই এলাকাসহ বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে, সয়াবিন তেলের বোতলের গায়ে লেখা নির্ধারিত মূল্য মুছে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছেন দোকানিরা। অনেক দোকানে পূর্বের দামে তেল কেনা থাকলেও তারা পূর্বের দামে না বিক্রি করে নতুন দামেরও বেশি মূল্যে বিক্রি করছেন। তবে বিক্রিত তেলের জন্য কোন রসিদ দেওয়া হচ্ছে না ক্রেতাদেরকে।
আটপুকুরহাটের এক মুদি দোকানী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এমনি তো বাজাওে তেলের সংকট। যেটুকু আছে সেগুলো ধীরে ধীরে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে ফুলবাড়ীর ডিলারদের কাছ থেকে বেশি দামে তেল কেনার কারণে তিনিও একটু বেশি দামে বিক্রি করছেন। পুরাতন তেলের মূল্য মুছে দিয়েছেন। তবে নতুন মূল্য তালিকা ঠিক রয়েছে।
আটপুকুর হাটে বাজার করতে আসা পুখুরী এলাকার আব্দুস সামাদ বলেন, সয়াবিন তেল নিয়ে যে তেলেসমাতি চলছে তা বলার মতো নয়। দোকানে তেল কিনতে গেলে প্রথমে বলা হয় তেল নেই, পরোক্ষণে প্রস্তাব আসে ২/১ বোতল তেল আছে দাম একটু বেশি পড়বে। এ নিয়ে কোন উচ্চ বাচ্চ করলেই তেল জুটবে না ভাগ্যে। এ কারণে যাদের প্রয়োজন তারা বেশি দামে তেল কিনতে বাধ্য হচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত শুরু শহরেই পরিচালিত হয়। ইউনিয়ন পর্যায়ের হাটবাজারেও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হলে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ব্যবসায়ীদের সরকার নির্ধারিত মূল্যে ভোক্তাদের কাছে পণ্য বিক্রি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপরও কেউ নির্দেশনা অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দিনাজপুরের সহকারি পরিচালক মমতাজ বেগম বলেন, আগামীতে ইউনিয়ন পর্যায়ের দোকানগুলো অভিযান পরিচালনার করা হবে, যাতে করে কোন দোকানী ভোক্তাদের কাছে অতিরিক্ত মূল্যে খাদ্যপণ্য বিক্রি করতে না পারেন।