রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার সরলিয়া গ্রামের সেলিনা নাজমা দীর্ঘ দেড় মাসেও স্বাভাবিক হতে পারেননি। দুঃসহ সেই স্মৃতির কথা মনে উঠলেই আঁতকে উঠেন। সবকিছু যেন এলোমেলো হয়ে যায়। এদিকে প্রায় প্রতিদিনই দাঙ্গাবাজ প্রকৃতির প্রতিপক্ষরা তার বাড়িতে গিয়ে মামলা তুলে নেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ ও নানাভাবে হুমকি ধমকী দিচ্ছে। যে কারণে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তারা। অভিযোগ ও মামলার বর্ননায় জানা গেছে,মাত্র ১ শতক জমি নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের সরলিয়া গ্রামের সুলতান মাহমুদের স্ত্রী সেলিনা নাজমা গত ৮ এপ্রিল সকাল ৮ টায় বাড়ির পাশেই একটি জমি খেতে গেলে একই গ্রামের মোজাম্মেল গাছু(৫৫),আনোয়ারুল গাছু(৪৮),মৃত আবুল হোসেনের পুত্র হামিদ গাছুসহ ১২/১৩ জন ব্যক্তি তার উপর হামলে পড়ে। মাথায় শরীরে এলাপাথাড়ী মারডাং করে মাটিতে ফেলে দেয়। তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে তাকে উদ্ধার ও চিকিৎসার জন্য পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। দীর্ঘদিন চিকিৎসা করে সুস্থ হলেও এখনো স্বাভাবিক হতে পারেননি। গত ১৩ এপ্রিল পীরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হলে পীরগঞ্জ থানার এসআই নুর আলম মন্ডল তদন্ত শেষে ৩০ এপ্রিল আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। এদিকে এ মামলার পাল্টা হিসেবে গত ২ মে একাধিক মামলার আসামি সরলিয়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের পুত্র আবদুল হামিদ পীরগঞ্জ থানায় পৃথক একটি মামলা দায়ের করেন। এতে সেলিনা নাজমার পক্ষের লোকজন দুলা মিয়া,নোবেল,লিংকন,সুলতান,নাজমাসহ ১৩ জনকে আসামি করা হয়। এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী দারোগা নুর আলম মন্ডল বলেন-মামলা যে কেউ করতে পারে। তদন্তে ঘটনার সত্যতা প্রমানিত হলেই তার বিরুদ্ধে চার্জশীট দেয়া হবে।