তিন ঘণ্টার বৃষ্টিতে গজারিয়ায় উপজেলা বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। গত শনিবার ভোর থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। গতকয়েকদিন বৃষ্টি হওয়ায় গজারিয়ায় বেশ কিছু রাস্তা পানি তলিয়ে যায়। ‘কালবৈশাখীর প্রভাবে সকাল থেকে বৃষ্টি হয়েছে।মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় টেঙ্গারচর ইউনিয়নে বড়ইকান্দি ভাটেরচর
গ্রাম হয়ে পাকা রাস্তা ভেঙে গর্ত ও জলাবদ্ধতা দুর্ভোগের শিকার সিএনজি-অটোরিকশা সহ ছোট পরিবহন চালক, চলাচলকারি যাত্রী ও এলাকাবাসী।
সোমবার (২৩ মে) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,ভাটেরচর বাস স্ট্যান্ড হতে বড়ইকান্দি ভাটেরচর গ্রামের শেষ পর্যন্ত একাধিক স্থানে বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতায় পাকা সড়কে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে চলাচলকারি যাত্রী, পরিবহন চালক ও এলাকাবাসী। এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে ইউনিয়নের বাসিন্দারা।
এ রাস্তায় সিএনজি ,অটোরিক্সা ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন চলাচল করে না। বর্ষায় রাস্তার গর্তে পানি জমে গেলে এসব যানবাহনও চলাচল করতে পারে না। দ্রুত রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
বড়ইকান্দি ভাটেরচর গ্রামের মাসুমের বাড়ি সংলগ্ন পাকা রাস্তায় জলাবদ্ধতায় আসা-যাওয়া করছে, সিএনজি ,অটোরিক্সা সহ বিভিন্ন ধরনের ছোট পরিবহন।ভাটেরচর স্ট্যান্ড হতে বড়ইকান্দি গ্রাম যেতে রাস্তায় একাধিক স্থানে ছোট বড় গর্ত থাকায় যান চলাচলে খুব সমস্যা হয়, এছাড়াও সামান্য বৃষ্টিতেই জলাশয়ের সৃষ্টি হয় রাস্তায়। দূভোগে পড়ছি সিএনজি চালক, অটোরিকশা চালক এবং ছোট পরিবহনে চলাচলকারি নারী-পুরুষ যাত্রী। খানাখন্দ এই জলাশয়ের কারণে যাত্রীদের পরিধেয় পোষাক নষ্ট হচ্ছে।কখনো অটোরিকশার উল্টিয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রতিনিয়ত ক্ষতির শিকার হচ্ছি অটো মিশুক চালকরা। রাস্তায় জলাবদ্ধ বৃষ্টির পানিতে গাড়ি নষ্ট হচ্ছে দ্রুত সময়ে। অটোরিকশার চালকসহ এলাকাবাসীর দাবি দ্রুত সময়ে রাস্তার এই খানা-খন্দকে ভাঙ্গা রাস্তা মেরামত প্রত্যাশা সিএনজি চালক জসিম উদ্দিন তোতা বলেন, রাস্তার এ বেহাল দশার কারণে এখন অনেকেই এ পথে চলাচলের সময়ে আতংকের মধ্যে রয়েছি। এ বিষয়ে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এছাড়াও রাস্তাটি দিয়ে ভাটেরচর বাজারে, ভাটেরচর দে এ মান্নান পাইলট উচ্চবিদ্যালয় ও বড়ইকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডারগার্টেন স্কুল ও ভাটেরচর মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থী যাতয়াত করে। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটিতে জলাবদ্ধ বৃষ্টির পানিতে থাকার কারণে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে যেতে পারে না শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘ সময় পার হলেও গ্রামীণ এই অবহেলিত মরণফাঁদ রাস্তায়।
মোটরসাইকেল চালক ওমর ফারুক বলেন সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে দিনের বেলায় কোনরকম চলাচল করলেও রাতে বেলা সম্ভব না।
টেংগারচর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ¦ বোরহান উদ্দিন দেওয়ান বলেন, আমাদের প্রায় প্রতিনিয়ত এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়। রাস্তাটির বেহালদশা গত কয়েক মাস ধরে। অতি দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করা না হলে এখানে বড়ধরনের দুর্ঘটনা ঘটারও সম্ভাবনা রয়েছে। তাই বৃহত্তর জনস্বার্থে দ্রুত রাস্তাটি মেরামত করা প্রয়োজন।
টেঙ্গারচর ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসান ফরাজি জানান এলাকার গণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে একাধিকবার উপজেলা আইনশৃঙ্খলা সভা এবং উন্নয়ন সভায় রাস্তা সংস্কার চাহিদা দেওয়া হয়েছে। মেরামত বরাদ্দ না থাকায় সংস্কার হচ্ছে না।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে এলজিইডির গজারিয়া উপজেলার উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ইশতিয়াক আহমেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কয়েক হাজার মানুষ এ রাস্তাটি ব্যবহার করেন। তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে এ অর্থবছরে রাস্তাটির নির্মাণ কাজ শুরু করা যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।