ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌর এলাকার মাঝিকাড়া ব্রীজ সংলগ্ন নদীর তীরে বর্জ্য দিয়ে ভরাট করা কয়েক কোটি টাকার মুল্যবান সরকারী জায়গার আর্বজনার উপর বালু ফেলে পরিস্কারের নামে অবৈধভাবে দখল করার আলামত শুরু করে দিয়েছেন একটি মহল, এমন আশঙ্কা এলাকাবাসীর। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লেখালেখি শুরু হলে পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে জায়গাটি দখলে নিয়ে লাল পতাকা উড়িয়ে দিয়েছেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) নবীনগর ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
জানা গেছে, নবীনগর পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড মাঝিকাড়া ব্রীজ সংলগ্ন খাদ্য গুদামের সামনে শহরের প্রবেশ মুখে কয়েক কোটি টাকার মুল্যেবান সরকারী ওই জায়গাতে পৌরসভার বর্জ্য ফেলা হতো। বর্জ্য ফেলার কারণে দীর্ঘ ১০ বছরবর্জ্যরে দূর্গন্ধে চরম ভোগান্তির শিকার হন এলাকাবাসীসহ পথচারীগণ। অবশেষে গত ২০ মে জল্লা গ্রামে পৌরসভার ডাম্পিং ষ্টেশন চালু হওয়ার পর থেকে আর ময়লা আর্বজনা ফেলা হচ্ছে না। হঠাৎ করে গত দু-দিন ধরে আর্বজনার উপর বালু ফেলে জায়গাটি সমান করা হচ্ছে, কারা বালু ফেলছে? কেন ফেলছে ? এমন প্রশ্ন জনমনে উঠেছে। জায়গাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লেখালেখি শুরু হলে, বুধবার বিকেলে বৈরী আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে নবীনগর থানা পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে জায়গাটি দখলে নেয়ার জন্য ছুটে যান সহকারি কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোশারফ হোসাইন।
নবীনগর শহরের অসহনীয যানজট নিরসন করতে হলে অবিলম্বে এই স্থানে অটো স্ট্যান্ড করা হোক,নতুবা এই জায়গাটি অবৈধভাবে দখল হয়ে যাবে, বালু ফেলার মাধ্যমে আলামত শুরু হয়ে গেছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে যে কোন সময় এই স্থানে অবৈধভাবে দখল হয়ে দোকানপাট ও ইট বালুর ব্যবসা শুরু হয়ে যাবে এমন দাবী এলাকাবাসীর।
নবীনগর পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট শিব শংকর দাস বলেন, এই স্থান থেকে ময়লা আর্বজনা সরানোর কাজ চলমান থাকা অবস্থায় কে বা কারা এই স্থানে বালু ফেলছে আমি জানিনা। নবীনগরের যানজট নিরসনে এই স্থানে অটো স্ট্যান্ড করার কথা বলেছেন মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল এমপি মহোদয়। বালু ফেলার বিষয়ে ইউএনও সাহেবকে অবগত করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল ছিদ্দিক জানান, সরকারি সম্পত্তি অবৈধভাবে কেউ দখল করতে পারবেনা। ওই জায়গাটির বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে এসিল্যান্ডকে বলা হয়েছে।
সহকারি কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্টেট মোশারফ হোসাইনবলেন, স্থানীয় সাংবাদিকদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে লেখনী ও ইউএনও স্যার ফোনের মধ্যে আমাকে অবগত করেন। তাৎক্ষণিক আমি ও আমার কর্মকর্তাদেরকে নিয়ে পুলিশের সহযোগিতায় সেখানে লাল পতাকা দিয়ে জায়গাটি চিহ্নিত করে আমাদের দখলে নিয়েছি। কেউ অবৈধভাবে দখলের চেষ্টা করলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে