নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক বিদ্যুৎ গ্রাহকের কাছে থেকে মামলার ভয় দেখিয়ে ২০ হাজার টাকা প্রতারণা করে আদায় করা হয়েছে। এটি ঘটেছে গত ১১ মে উপজেলার ধলাগাছ কিসামত পাড়ায়।
মিটার মাকিক আবদুর রউফ টেক্কা জানান,আমার মিটার নং- ৫১৮৬২৪। প্রতিমাসে বিদ্যুৎ অফিস সৈয়দপুর নেসকো থেকে মুকুল হোসেন পিতা মৃত আজিজ নামে এক লোক এসে বিল করে দেয়। আমার কোন বিদ্যুৎ বিল বকেয়া নেই। প্রতিমাসে আমি কষ্ঠ হলেও বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে আসছি। কিন্তু হঠাৎ গত ১১ মে মুকুল হোসেন গোলাহাট এলাকার আবদুল হাফেজের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মারুফ ওরফে শামীম,কামারপুকুর এলাকার আমিনুল ইসলামের ছেলে ফরহাদ ও পারভেজ নামে ৪ জন আমার বাসায় এসে মিটার খুলে নিয়ে যেতে থাকে। এ সময় আমি বিষয়টি জানতে পেরে তাদেরকে মিটার খুলার কারণ জানতে চাই। এ সময় মুকুল ও ফরহাদ বলে আপনার মিটার সমস্যা আছে। তাই এটি অফিসে নিয়ে যেতে হবে। এরপর আপনার বিরুদ্ধে মামলা হবে। তাতে কমপক্ষে আপনার ৭০ হাজার টাকা জরিমানা হবে। এমন ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের মধ্যে দুইজন মিটার নিয়ে চলে যায়। আর বাকি দুইজন আমার বাসার আশপাশে থাকে। এক পর্যায় প্রায় ৩০ মিনিট পর মিটার নিয়ে ওই দুইজন আবার ফিরে আসে। মিটারটি যথা স্থানে লাগিয়ে দিয়ে ৩৫ হাজার টাকা দাবি করে। বলে পারভেজ স্যার আছে ওনাকে টাকা দিলে কোন মামলা হবে না। আমি একজন সহজ সরল গরীব মানুষ। লেখাপড়া তেমন জানি না। তাই ভয়ে সুদের ওপর ২০ হাজার টাকা নিয়ে এসে ফরহাদ ও মুকুলের হাতে দেই। এরপর তারা আমার বাসা থেকে চলে যায়।
এ ব্যাপারে প্রতিবেশী আনোয়ারুল জানান,ওইদিন তারা আমার সামনে টাকা নেয়। তখন আমার সন্দেহ হয়েছিল।
বাসার মালিকের ছেলে রাব্বি বলে তারা মামলার ভয় দেখিয়ে আমার বাবার কাছ থেকে প্রতারণা করে টাকা আদায় করেছে। আমরা তাদের বিচারসহ টাকা ফেরত চাই।
ওই এলাকার আরও অনেকে বলেন নেসকোয় কর্মরত এরা প্রায়ই মানুষের সাথে এ ধরনের প্রতারণা করে টাকা আদায় করে।
এ ব্যাপারে প্রতারক ফরহাদের সাথে মোবাইলে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তিনি মোবাইল কেটে দেন। অন্য তিনজনকে পাওয়া যায়নি। ফলে তাদের মতামত নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে সৈয়দপুর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ( নেসকো) আবাসিক নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান ভুইয়ার সাথে মোবাইলে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তিনি জরুরী মিটিংয়ে থাকায় কথা পরে বলবেন বলে জানান।